শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মোঃ তাজুল ইসলাম লাকসামবার্তা পত্রিকার  “বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব” হিসেবে নির্বাচিত হলেন

মোঃ তাজুল ইসলাম লাকসামবার্তা পত্রিকার “বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব” হিসেবে নির্বাচিত হলেন

            তোফায়েল আহমেদ\ গ্রামে গঞ্জে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মকান্ডে রেকর্ডের পর রেকর্ড সৃষ্টি করার সুবাদে ‘লাকসামবার্তা পত্রিকা’র দৃষ্টিতে এবার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ এলাকার “বর্ষসেরা ব্যক্তি” হিসেবে নির্বাচিত হলেন ‘মোঃ তাজুল ইসলাম’ এমপি। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পরবর্তি কালে ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিগত দুই যুগে তাঁর বলিষ্ঠ নের্তৃত্বে বর্তমানে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন ও অগ্রগতির বাস্তব চিত্র অনেক বদলে গেছে। অত্র এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই অবহেলিত অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক আলোচিত এলাকার সূর্য্য সন্তান মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির অবদানই অবিস্মরণীয়।

            তদুপরি, মোঃ তাজুল ইসলাম একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সুদক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে বিগত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সততা ও ন্যায় নিষ্ঠা আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার প্রেক্ষিতেই তাঁকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়েছিলেন। এতে করে দেশব্যাপী উন্নয়ন কর্মকান্ডে মোঃ তাজুল ইসলাম ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

            উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলো শহর ও নগরসমূহের ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ অঞ্চলের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সামাজিক ও সমবায় কর্মকান্ডে সহযোগিতা প্রদান প্রভৃতি।

            এর আগে মোঃ তাজুল ইসলাম প্রথমে কুমিল্লা-১০ আসনের  (১২ই জুন ১৯৯৬-১লা অক্টোবর ২০০১) সংসদ সদস্য ছিলেন। এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তার সুবাদেই তিনি কুমিল্লা-১০ এবং পরে কুমিল্লা-৯ আসনে এ পর্যন্ত বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

            সর্বশেষ গত ৭ই জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সুযোগ্য প্রার্থী হিসেবে মোঃ তাজুল ইসলাম মোট ২,৩৩,৯৪৬ ভোট পেয়ে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তার সুবাদেই তিনি পরপর এ পর্যন্ত ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এতে করে আজ বুধবার (১০ই জানুয়ারী) মোঃ তাজুল ইসলাম সংসদ ভবনে পূণরায় এমপি হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণেরও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

            উল্লেখ থাকে যে, একজন সফল সুপ্ত প্রতিভার রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক এই সুদক্ষ ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত হলো: মোঃ তাজুল ইসলাম-এর জন্ম: ৩০শে জুন ১৯৫৫। কুমিল্লা জেলার সাবেক লাকসাম বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় তাঁর নিজ গ্রামের পোমগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন। মাধ্যমিক পাস করেন একই গ্রামের পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন, লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের।

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন, লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ এবং বিএ সম্মান (অনার্স) ও এমএ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) থেকে। শিক্ষা বিস্তারেও তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি নিজ এলাকায় অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর বাবার নামেও একটি কারিগরি স্কুল তৈরি করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবেও দীর্ঘ দিন সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

            এলাকার কৃতি সন্তান মোঃ তাজুল ইসলামের পিতার নামঃ জুলফিকার আলী, মাতা- আনোয়ারা বেগম। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তাঁর সহধর্মীনি ফৌজিয়া ইসলাম। বিবাহিত জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের গর্বিত জনক। পিতা-মাতার আদর, ভালবাসা ও অনুশাসন মেনে সুন্দরজীবন গড়ে তোলেছেন তারাও। ছেলেরা শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশের মাটিতে বাবার প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘ফেবিয়ান গ্রæপ’-এ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েদের মধ্যে একজন ব্যারিস্টার আর অন্যজন উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করছেন।

            কর্মজীবনে চট্টগ্রাম বারো আউলিয়ার জন্মভূমিতে সাফল্যের ছোঁয়া পান মোঃ তাজুল ইসলাম। নিজের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সফল্যের সাথে নিজেকে দাঁড় করান এক নতুন দিগন্তে। ফেবিয়ান গ্রæপ অব ইন্ড্রাট্রিজসহ বর্তমানে ২০ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তিনি। তিনি যমুনা ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারি ব্যাংকও  পরিচালনা করছেন। মোঃ তাজুল ইসলাম বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘প্রতিদিনের সংবাদ’ পত্রিকার প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

  রাজনৈতিক জীবনে বাংলার দুঃখী মানুষের স্বজন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট মোঃ তাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মাটি ও মানুষের ভালবাসাকে পুঁজি করে মহান জাতীয় সংসদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ের মালা পরিধান করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন।

            কিন্ত ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে গেলেও ফের ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে মহান জাতীয় সংসদে যান। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি ৩য়: বারের মতো মহান জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। আবার ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষে সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালের গত ৭ই জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি ৫ম বারের মতো কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

            মূলত: মোঃ তাজুল ইসলামের মেধা, জনপ্রিয়তা, বিদ্যমান প্রভাব-প্রতিপত্তি আর দুই উপজেলার রাজনীতি অনেকটা তাঁর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উন্নয়নকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে নিতে মো: তাজুল ইসলাম দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকার এমন কোনো গ্রাম নেই; যেখানে তিনি পা রাখেননি। তিনি গোটা দেশের ন্যায় তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ও ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন।

            এছাড়াও এ আসনে তিনি ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি লাকসামকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনসহ দলের নেতাকর্মীদের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নেও তিনি কঠোর নির্দেশ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।

            এ অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে মোঃ তাজুল ইসলামকে আখ্যা দিয়ে দলীয় অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁর তুলনা নেই।

            মূলত: বিগত ১৫ বছর একটানা উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন। আর শুধু উন্নয়ন নয়; মোঃ তাজুল ইসলাম সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতির পাশাপাশি এলাকায় ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ সন্ত্রাস, দূর্নীতি দমন ও মাদক মুক্ত করতেও অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন।

            তিনি সারাদেশের শহর ও নগরসমূহের ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ অঞ্চলের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সামাজিক ও সমবায় কর্মকান্ডের ক্ষেত্রেও অপরিসীম সহযোগিতা প্রদান করছেন।’

            মোঃ তাজুল ইসলাম বিশেষ করে এলাকার তথা দেশব্যাপী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালর্ভাট, লাকসাম পৌরসভা এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সুপার মার্কেট, বঙ্গবন্ধু কমিউনিটি সেন্টার, দৃষ্টি নন্দন হাতিরঝিলের আদলে নির্মিত অনেকগুলো ব্রিজ, নবাব ফয়েজুন্নেছা সরকারি কলেজে একাডেমিক ভবনসহ ছাত্রবাস, ডরমিটরি, আধুনিক উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ, চিত্তবিনোদনের জন্য ৫টি দৃষ্টি নন্দন লেক স্থাপন এবং নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়িটি জাতীয় যাদুঘরে রূপান্তরের উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এছাড়া আরও অনেক চলমান কাজ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে লাকসাম একটি আধুনিক লাকসামে রূপান্তরিত হবে নি:সন্দেহে।’

            তবে, অত্র এলাকার লাখ লাখ মানুষের দু’টি প্রাণের দাবী বৃহত্তর লাকসাম ও আশ-পাশের কয়েকটি উপজেলার সমন্বয়ে এই ‘লাকসাম’কে একট নতুন জেলা ঘোষণা করার। এই দাবী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের আমল থেকেই শুরে হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও এমন যৌক্তিক দাবীর ব্যাপারে সরকার এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। এ ব্যাপারে এলাকবাসীরা দীর্ঘদিন যাবত বৃহত্তর লাকসামের ২ জন সুযোগ্য মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে আসলেও দুর্ভাগ্যবশত: ‘লাকসাম’কে অদ্যাবধিও জেলা ঘোষণা করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে এলাকাবাসীদের মধ্যে আজও দারুন হতাশা বিরাজ করছে। অবশ্য, সম্প্রতি অত্র এলাকার অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করে লাকসামবার্তাকে বলেছেন যে, এবার নিশ্চয়ই মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি সাহেব “লাকসাম”কে জেলা ঘোষণা করা এবং লাকসামের বড় দুঃখ ডাকাতিয়া নদী খননের ব্যাপারে কার্যকরভাবে অত্যন্ত জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

            দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ম বারের মতো নির্বাচিত এমপি মো: তাজুল ইসলাম লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনসেবার মাধ্যমে, নিজেকে জননেতা হিসেবে পরিচয় কায়েম করেছেন। তিনি শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও দানবীরও বটে। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় আইনের শাসন কায়েম ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারেও মনোযোগ দিয়ে থাকেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা, তাকে হর্ল মার্ক ক্যালেংকারির বিচার বিভাগীয় তদন্তেরর দায়িত্ব ভারও দিয়েছিলেন। তাতে তিনি একান্ত সফলতার সাথেই সুষ্ঠু তদন্তেরর মাধ্যমে সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে সে ক্ষেত্রেও সঠিক রিপোর্ট শেখ হাসিনার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সে সুবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি হয়ে তখন এমপি তাজুল ইসলামকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বও প্রদান করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে তিনি দিন-রাত অবিরাম পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সন্তোষজনকভাবেই পালন করেছিলেন। তিনি গণমাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নিজ হাতে গড়া সংগঠনের সাফল্যের ছবিও বিশ্বের বুকে তুলে ধরছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীত্বে এসে তিনি গড়েছেন অসংখ্য মাইলফলক। নানা সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি ছিলেন সবার উপরে। সে সব আলোকে মোঃ তাজুল ইসলামকে গণমাধ্যমের বিশ্বায়নের বিশ্লেষকও বলা হয়ে থাকে। তাই সকল ক্ষেত্রেই সেরার সম্মান নিয়েই তিনি তাঁর স্বর্নালি বছর ২০২৩ সাল শেষ করে সর্বক্ষেত্রেই দারুণ সফলতা নিয়ে আবার সম্মূখে এগিয়ে চলেছেন।

            বলা বাহুল্য, সমাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে শুধু তিনি নিজে নন; মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি সম্প্রতি এক জনসভায় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যেও বলেছেন যে, ‘সমাজে অবিচার-অত্যাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়লে এই সম্পদের কোনো দাম নেই। আর এভাবে সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনীতি করলে সেটা হবে নিরর্থক। তাই প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ শুধু নির্বাচন এলে ভোট চাওয়ার দল না। বরং আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার দল। সেহেতু, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে কল্যাণমূলক কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।’

            দেশের সর্বত্রই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান, কিন্তু সারাদেশেরই মন্ত্রী। তাই পক্ষপাতিত্ব না করে সারাদেশেই সমানতালে উন্নয়ন করেছি। দেশের সকল স্থানের মতো আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জেও শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে নজিরবিহীন উন্নয়ন করা হয়েছে। গোটা দেশের সর্বত্রই শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের কাছে আজ এক রোল মডেল।’

প্রথমে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচন করায় লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমার আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে আপনাদের অবদান ও সমর্থন ছিল বলেই এতসব কিছু সম্ভব হয়েছে। আমি যেখানেই যাই না কেন- আমার প্রেরণা ও মনোবলের উৎস এই মনোহরগঞ্জের মাটি ও মানুষ। আমার জন্মস্থানের প্রতি আবেগ দিন দিন বেড়েছে। আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে, আমার দায়িত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই আজ আমি সারাদেশের মানুষের মন্ত্রী হয়েছি। এ কথা মাথায় রেখেই আমি সততার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মীকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে অনুরোধ রাখছি।’

            বাস্তবিক পক্ষেই একজন বিরল ব্যক্তি হিসেবে মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি ও মন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশব্যাপী সমান তালেই উন্নয়ন করেছেন। অবিস্মরণীয় উন্নয়ন করেছেন আ’জীবনের চরম অবহেলিত ও উপেক্ষিত লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ও। এ সকল অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই ইংরেজী নববর্ষ ২০২৪ সালের শুরু উপলক্ষে সরকারি মিডিয়াভুক্ত বাংলাদেশের মফস্বলের (ঢাকা ও চট্রগ্রাম ব্যতীত) সর্বাধিক প্রচারিত এবং লাকসাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা পত্রিকার “বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব” হিসেবে মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়কে আখ্যায়িত করা হলো। আমরা বহুল প্রচারিত এলাকাবাসীর প্রিয় পত্রিকা লাকসামবার্তা’র পক্ষ থেকে আগামী দিনগুলোতেও সর্বক্ষেত্রেই তাঁর আরো উত্তরোত্তর সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

Share This