শুল্ক ব্যতীত এখন আর কেউ বিদেশ থেকে ১টি মোবাইল ফোনও আনতে পারবেন না
ষ্টাফ রিপোর্টার\ শুল্ক ছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখন আর কেউ বিদেশ থেকে ১টি মোবাইল ফোনও আনতে পারবেন না। পরিবাবের সদস্যদের জন্য কোনো মোবাইল ফোন আনতে হলেও তাকে অবশ্যই শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমানে ব্যাগেজ বিধিমালার অধীনে একজন যাত্রী শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়া ২টি নতুন মোবাইল ফোন বিদেশ থেকে আনতে পারেন। কিন্তু এখন থেকে আর এ সুবিধা থাকছে না।
গত বৃহস্পতিবার (৬ই জুন) সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, ব্যাগেজ বিধিমালা ২০২৩-এ পরিবর্তন আনছে সরকার। সেই সঙ্গে নতুন নিয়মও চালু করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়া এখন কেবল দু’টি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আনার সুবিধা রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি। তবে প্রযোজ্য শুল্ক ও কর পরিশোধ করে যাত্রীরা নিজের সঙ্গে একটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারবেন।
এ ছাড়া, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। এটি আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোবাইলে কথা বললেই গ্রাহককে গুনতে হবে বাড়তি টাকা।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৩০শে জুন উল্লেখিত বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
উক্ত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া, উক্ত বাজেটে বিদেশি ঋণের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সুত্র: কালবেলা