বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৩ সন্তানের জননীর বিষ পানে আত্মহত্যা

৩ সন্তানের জননীর বিষ পানে আত্মহত্যা
১১৫ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৩ সন্তানের জননী বৃষ্টি আক্তার (২৩) বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার। ঘটনার পর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে।

            গত ৪ঠা জুন সকাল এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুপুরে বুড়িচং থানার এসআই মঞ্জুর ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এ বিষয় নিহতের পিতা মোঃ মোমিন বাদি হয়ে স্বামী সাব্বির, শ্বশুর রফিক ও শাশুড়ি লিলুফ বেগমকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

            অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের আহাম্মদ মেম্বারের বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বিরের কাছে ২০১৪ সালে বিয়ে দেন একই উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের বাজেবাহেরচর গ্রামের ময়নাল হোসেন মেম্বারের বাড়ির মোঃ মোমিনের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে। নিহতের পিতা মোমিন জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক না দেয়ায় বৃষ্টি আক্তার সাব্বিরের ঘরে পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলো। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনসহ বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার, জোর জুলুম, মারধরসহ বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে বৃষ্টি আক্তারকে জ্বালাতনসহ ভয়ভীতি হুমকি ধমকি প্রদর্শন করতো। এ বিষয়ে বৃষ্টি আক্তার তার পরিবার ও সর্দারকে অবগত করলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। গত ৪ঠা জুন সকালে সংসার থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে এবং বিভিন্ন অপমান জনক কথাবার্তাসহ আত্মহত্যা করে নিজের জীবন নিজে শেষ করে ফেলার প্ররোচনা দিতে থাকে। ওই দিন সাব্বির ও তার মা-বাবার অন্যায় অত্যাচার ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে। বিষপান করার পর প্রতিবেশীরা আহত বৃষ্টি আক্তারকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিয়ে যেতে বলে। বৃষ্টি আক্তারকে ঢাকা নেয়ার পথেই মারা যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।

            এ বিষয় বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার জানায়, এই ঘটনায় থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পর আসামীরা সকলেই পলাতক। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দোষী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

Share This

COMMENTS