শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা সদরের প্রধান পুকুরটি এখন ময়লার ভাগাড়

ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা সদরের প্রধান পুকুরটি এখন ময়লার ভাগাড়

            কাজী খোরশেদ আলম\ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন প্রধান পুকুরটি বাজারের আর্বজনা ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজেকর্মে হাজার হাজার যাত্রী কুমিল্লা জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও বিভিন্ন যানবাহনে করে যাতায়াত করে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও চলাচল করে থাকে।

            নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় বাজারের ময়লা আর্বজনা পুকুরের পানিতে ফেলায় পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। এতে পুকুরের পানি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুকুরের উত্তরপাড়ে অবস্থিত ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং স্কুলের মসজিদ অবস্থিত। মসজিদের ঘাট দিয়ে অনেকেই অজু গোসল করেন। পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আবাসিক জনবসতি এবং ব্রাহ্মণপাড়া আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুকুরের পানিতে হাত মুখ ধোয়া ছাড়াও আবাসিক এলাকার লোকজন বিভিন্ন কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকেন। পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে সিএনজি স্টেশন এবং চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাট রয়েছে। তা ছাড়া আর্বজনার দুর্গন্ধে সাধারণ যাত্রীরা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অতি দ্রæত ময়লা আর্বজনা অন্যত্র সড়িয়ে নেয়া অথবা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান ভোক্তভোগীরা।

            কুমিল্লাগামী এক যাত্রী বলেন, এ স্টেশনে এলে বমি চলে আসে। ময়লা আর্বজনার গন্ধে এখানে দাঁড়ানো যায় না। অতি দ্রæত ময়লাগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

            নাম না প্রকাশে এক অটোরিকশা ড্রাইভার বলেন, আমাদের দুঃখ কেউ দেখার নেই। আমাদের স্টেশনের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে ফেলা ময়লাগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা কাউকে কিছু বলতে পারি না। বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটের ময়লাগুলো রাতের আঁধারে এখানে ফেলে যায়। যাত্রীসাধারণ এবং আমাদের খুব কষ্ট হয়। তারপরেও পেটের তাগিদে সিএনজি নিয়ে বসে থাকতে হয়।

            পাশের চা দোকানদার ফয়সাল জানান, এখানে একটি ডাস্টবিন ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। যে যার ইচ্ছে মতো ময়লা আর্বজনা ফেলছে। পচা দুর্গন্ধের মধ্যে অনেক কষ্টে দোকানদারি করছি। তবে যদি এ জায়গাটি খালি না থাকত; তাহলে কেউ হয়তো ময়লা আর্বজনা ফেলত না। দোকানপাট নির্মাণ করা হলে এ জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকত।

            ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সচেতনমহল মনে করেন দ্রæত অন্যত্র ময়লা ফেলার জায়গা তৈরি করতে হবে অথবা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে খোলা জায়গায় ময়লা আর্বজনা ফেলা হলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। পুকুরের পানি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পুকুরের পানি ব্যবহারকারীদের মধ্যেও বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Share This

COMMENTS