শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চৌদ্দগ্রাম অংশে  মরা গাছের ডালপালা পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চৌদ্দগ্রাম অংশে মরা গাছের ডালপালা পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা

            নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশ দিয়ে চলাচল করতে এখন আতঙ্কে থাকেন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। কারণ মহাসড়কের ওই অংশের উভয় পাশে রয়েছে শত শত মরা গাছ। যেকোনো সময় তা ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

            আতঙ্কিত চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে চলাচলের সময় বারবারই মনে হয়, এই বুঝি মাথার ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়ল! সবশেষ গত মাসের শুরুতে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা পূর্বধনমুড়ি এলাকায় বিদ্যুতের তারের ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়ে। পরে সেটি অপসারণ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণ করে সেখানে নতুন গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

            স্থানীয়দের ভাষ্য, গত কয়েক বছরে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এরই মধ্যে এসব মরা গাছ অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

            সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মিরশ্বান্নী, দত্তসার, জগন্নাথদিঘি, ফালগুনকরা, নবগ্রাম, আমানগন্ডা, হাড়িসর্দার, নোয়াবাজার, ছুপুয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় মহাসড়কের দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত মরা গাছের সারি রয়েছে। শুধু মিরশ্বান্নী আর ছুপুয়া এলাকায়ই রয়েছে ২ শতাধিক মরা গাছ।

            চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘গত বছর ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে উপজেলার ফালগুনকরা, নবগ্রাম, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের পাশে ও ছুপুয়া এলাকায় মরা গাছের ডালপালা হঠাৎ ভেঙে পড়ে মহাসড়কের ওপর। এসব ঘটনায় কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও পথচারী আহত হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তাই বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই গাছগুলো তুলে নতুন গাছ রোপণ করে দিতে হবে।’

            মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী জোনায়েদ হোসেন সোহাগ নামের এক প্রাইভেট কার চালক বলেন, ‘মহাসড়ক লাঘোয়া মরা গাছগুলো সরিয়ে নিতে সড়ক বিভাগের দ্রুত উদ্যোগ দেখতে চান চালকরা। আমরা দিনরাত এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকি। মহাসড়কটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় কয়েকশ’ যানবাহন চলাচল করে।’

            উপজেলার জগন্নাথদিঘি এলাকার সামছুল আলম বলেন, ‘গত প্রায় ৯ মাস আগে আমি এই সড়ক দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ মরা গাছের একটি ডাল ভেঙে আমার গায়ে পড়ে। এতে আমি আহত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি।’

            সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে সওজ কর্তৃপক্ষ, বন বিভাগসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৃক্ষ রোপণ করে থাকে। চৌদ্দগ্রাম অংশে ওই গাছগুলো কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রোপণ করা হয়েছিল সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আর মরা গাছের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যে প্রতিষ্ঠান গাছ লাগিয়েছে তাদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মরা গাছগুলো অপসারণ করা হবে।’

Share This

COMMENTS