পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কুমিল্লায় বিএনপির ৩৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
ষ্টাফ রিপোর্টার॥ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার (৩০শে অক্টোবর) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ২৯শে অক্টোবর হরতাল সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়াও তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আক্কাস, আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ওইদিন সকালে হরতালের সমর্থনে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি নগরীর চকবাজার যাওয়া মাত্র পুলিশ অতর্কিত লাঠিপেটা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি করে। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এখন উল্টো পুলিশ আমাদের নামেই মামলা দায়ের করেছে।
দলের নেতাকর্মীরা জানায়, ২৮শে অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রোববার সকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় নিমতলী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি। মিছিলটি নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয় হয়ে রাজগঞ্জ হয়ে চকবাজার পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় প্রথমে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে লাঠিচার্জ করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহত হন অন্তত ২০ জন। তবে পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার পর কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় ৬টি ককটেল ও ৯টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।