
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ই ডিসেম্বর

ষ্টাফ রিপোর্টার\ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ই ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার নবম (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ ২০১৮ সালে যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন তা আদালতে দাখিল করার জন্য দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়। তবে আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দিকে এ মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে গ্রেফতার করার পর কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ তার স্টেটমেন্ট নেন। ওই বক্তব্য সংক্রান্ত স্টেটমেন্টের সিডি কানাডিয়ান পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে দাখিল করার অপর একটি আবেদন করে দুদক। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ই ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০শে অক্টোবর কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে কানাডিয়ান দুই সাক্ষী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে কিছু বলেননি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।
দুদকের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। গত ১৯শে অক্টোবর কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্য মিস্টার কেভিন দুগগান ও লয়েড শোয়েপ স্যা দিতে সমন জারি করেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর আগে গত ২৩শে মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ১৯শে মার্চ কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার নবম (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।