জনবল সংকটে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিনিধি\ নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে ৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। এ হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। অনুমোদিত পদে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি গত ৬ বছর যাবৎ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ডা. জোবেদ হাসান যোগদান করেন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে ডা. জোবেদ হাসান প্রেষণে তার নিজ জেলার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তিনি চাটখিল সরকারি হাসপাতাল থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করলেও চাকরি করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জোবেদ হাসান জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে তিনি প্রেষণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
চাটখিল সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের পদ রয়েছে ৩১ জন। তার মধ্যে ২ জন প্রেষণে অন্যত্র চাকরি করছেন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১২ জন, বাকি ১৭ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১৫ জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩ জন, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ২ জন ও স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ, ক্যাশিয়ার, প্রধান সহকারী, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে কোনো লোক নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, হাসপাতালে শূন্য পদে জনবল না থাকায় উপজেলায় জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কিছুটা বিঘিœত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার পত্রের মাধ্যমে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন পাওয়া যায়নি এবং পুরাতন আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি মেরামতের কোনো ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ নেয়নি।