শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনাইমুড়িতে যুবলীগ কর্মীকে গুলি  করে হত্যা মামলায় ৩ বন্ধু গ্রেপ্তার

সোনাইমুড়িতে যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা মামলায় ৩ বন্ধু গ্রেপ্তার

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ও যুবলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান পলাশ অজিকে (৩৫) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার ৩ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) বিকেলে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

            গ্রেপ্তাররা হলেন- নাটেরশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের হাজি আবুল কাসেমের ছেলে মো. আহসান উল্যাহ প্রকাশ কল্লা হাসান (৩৮), অজি উল্যাহর ছেলে আকবর হোসেন সোহেল (৩৬) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওজি বাড়ির নুরনবীর ছেলে মো. মিরাজ (২১)। গত রোববার রাতে নাটেশ্বর ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় আগেরও একাধিক মামলা রয়েছে।

            এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে নাটেশ্বর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামে শহিদুজ্জামান পলাশকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার বাড়ির পাশ থেকে মাথা থেতলানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত পলাশ ওই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের কর্মী ছিলেন এবং ভোটের দিন ওই প্রার্থীর পক্ষে মির্জানগর কেন্দ্রে এজেন্টও ছিলেন।

            রোববার (১৪ই জানুয়ারি) এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৮) বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘শনিবার রাতে ঘটনার সময় আমি ২ শিশুসন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পলাশ ইমুতে ভিডিও কলে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সন্ত্রাসীরা তাকে তার বাড়ির পাশে গুলি করে হত্যা করে। পূর্ব বিরোধের জেরে এমন ঘটনার ঘটতে পারে বলে আমি মনে করি।’

            মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা জানান, তিন আসামি নিহতের সহপাঠি-বন্ধু। আটকের পর তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

            সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পর থেকে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। তবে ব্যক্তিগত যেকোনো বিষয়ের পূর্ব বিরোধে পলাশকে খুন করা হতে পারে। আশা করছি অচিরেই খুনের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে।

            নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, খুনি পেশাদার সন্ত্রাসী। ৩ জনকে আটকের পর কিছু মোটিভ পাওয়া গেছে। আশা করছি স্বল্প সময়ে মূল খুনিকে গ্রেপ্তার করতে পারব। তবে এটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ব্যক্তিগত লেনদেন ও মাদকসহ আরো কিছু মোটিভ পেয়েছে পুলিশ।

Share This