শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাহরাস্তিতে চিকিৎসক হত্যা মামলায়  ২ কিশোরের ১০ বছরের কারাদন্ড

শাহরাস্তিতে চিকিৎসক হত্যা মামলায় ২ কিশোরের ১০ বছরের কারাদন্ড

৭৬ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আলোচিত পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ হত্যা মামলার রায়ে ২ কিশোরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। গত সোমবার (১২ই ফেব্রæয়ারি) বিকেলে জেলা নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ আব্দুল হান্নান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত কিশোর সফিউল আলম শুভ (১৪) এবং আসিফ মিয়াজী বাবু (১৮) আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

            এর আগে বিগত ২০১৭ সালের ১৮ই জানুয়ারি গভীর রাতে শাহরাস্তি উপজেলার বানিয়াচো এলাকার পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ (৭০) তার নিজ চেম্বারে নির্মমভাবে খুন হন। এই ঘটনার পর তার ছেলে মোশাররফ হোসেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে সোহরাব হোসেন মৃধা এবং মাহফুজ আলম নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এ হত্যাকান্ডে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে ছেড়ে দেয়া হয়।

            তবে ওই সময় আলোচিত এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শাহরাস্তি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূর হোসেন মামুন ২ কিশোর জড়িত থাকার তথ্য পান। যারা ছিল মাদকসেবী এবং মাদকের টাকা যোগাড় করতে গিয়ে চেম্বারে একা থাকা পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ‘র ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে আনোয়ার উল্লাহকে। পরে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় তারা।

            এরই মধ্যে পুলিশ শুভ ও বাবু নামে এই দু’জনকে আটক করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই মামলার একাধিক সাক্ষী ও বাদীর স্বাক্ষ্য শেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযুক্ত ২ কিশোরের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেয়ার আদেশ দেন এই আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান।

            অন্যদিকে, রায় প্রদানে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি সায়েদুল ইসলাম বাবু। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান, আসামি পক্ষের আইনজীবী সহিদউল্লাহ পাটোয়ারী।

            ঘটনার শিকার পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ এলাকায় বেশ জনপ্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বানিয়াচো এলাকায় বাড়ির সামনে একটি দোচালা ঘরে একাই বসবাস করতেন তিনি। সেখানে বসেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে নামমাত্র মূল্যে ওষুধ প্রদান করেন এই পল্লী চিকিৎসক।

Share This

COMMENTS