কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ১০৫ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণঃ অস্ত্র উদ্ধার সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত
এম ফিরোজ মিয়া\ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটের জন্য ১০৫টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে এই ১০৫ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পুলিশের ভাষায়, যা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সংঘাত-ঝুঁকিমুক্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরকেন্দ্রিক গত শুক্রবার থেকে সব ওয়ার্ডে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী-পলিটিক্যাল ক্যাডারদেরও।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সিটির ১০৫ কেন্দ্রের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগর এলাকায় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হতে না পারে- সেজন্য পুলিশের সবগুলো ইউনিট সতর্ক আছে। এছাড়া পুলিশের তালিকাভুক্ত হাইপ্রোফাইলের সন্ত্রাসী ও পলিটিক্যাল ক্যাডারদেরও পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নজরদারিতে থাকা এসব সন্ত্রাসী-পলিটিক্যাল ক্যাডারের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এ সময় পুলিশ ৬ অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ১টি এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজসহ ১ জনকে এবং সিটি এলাকার সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩টি পাইপগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও যাতে সিটি এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে- সেদিকে পুলিশের নজরদারি থাকবে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে কোনো অবৈধ অস্ত্র যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ, কোতোয়ালি, ব্রাহ্মণপাড়া থানা ও জেলা ডিবি পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, যেহেতু প্রতিটি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেহেতু প্রত্যেক কেন্দ্রে ৬ জন করে অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন রাখার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।