রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে  নিবন্ধন ছাড়া কোনো গণমাধ্যম  থাকতে পারবে না: নিজামুল হক

প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে নিবন্ধন ছাড়া কোনো গণমাধ্যম থাকতে পারবে না: নিজামুল হক

Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, ‘দেশে কতজন সাংবাদিক রয়েছে- সেই তালিকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কারা সাংবাদিক সেটি প্রথমে তৈরি করতে হবে। নিবন্ধন নেই এমন গণমাধ্যম থাকতে পারবে না। নিবন্ধিত গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা থাকে। এ জন্য আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করছি। অনিবন্ধিত গণমাধ্যমে কোনো সরকারি বা বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্যও দেয়া ঠিক হবে না। প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা বা ডাটাবেজ তৈরির কাজ করা গেলেই দেশব্যাপী অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা রোধ করা সম্ভব হবে।

            গত ৫ই মার্চ ভোলা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত “গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ কথাগুলো বলেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, এই প্রেস কাউন্সিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৈরি করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে যে উদ্দেশ্যে প্রেস কাউন্সিল সৃষ্টি করেন তার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা করতেন। তাই সাংবাদিকতার মান বৃদ্ধি করার জন্যই এ প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হয়। এ জন্য প্রেস কাউন্সিল এখন সময় উপযোগী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। তিনি বলেন, কোন গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা রাখা হয় না। ফলে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নন, তা যাচাই করাও সম্ভব হয় না। এজন্য গণমাধ্যমকে তার প্রতিনিধির তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেবল দৈনিক যুগান্তর তার প্রতিনিধিদের তালিকা জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করা গেলে দেশে বিরাট বিপ্ল­ব হবে। যদি আইনজীবীদের তালিকা বার কাউন্সিলে পাওয়া যায়, তাহলে সাংবাদিকদের তালিকাও প্রেস কাউন্সিলে পাওয়া যাবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা।

            প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম আরো বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত সাংবাদিক তিনি হবেন- যিনি নিয়মিত পেশায় থাকবেন। বেতনভুক্ত হবেন। পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কমিশন কোনো সাংবাদিকের বেতন নয়। এটিও মনে রাখতে হবে। সাংবাদিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক পাশ। আর গ্রাজুয়েশন নেই অথচ সাংবাদিকতা করছেন, এমন ক্ষেত্রে যদি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকে- তাকেও সাংবাদিক হিসেবে গ্রহণ করা হবে। এটা হলে সরকারের পক্ষে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করতে সুবিধা হবে। এ সময় প্রধান অতিথি দেশের প্রথিতযশা সৎ সাংবাদিকদের জীবনী পড়ার জন্য প্রশিক্ষণে আগত সাংবাদিকদের উৎসাহিত করে বলেন, তাহলে আপনারা সাংবাদিকদের করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং জনগণ আপনাদের দ্বারা উপকৃত হবে।

            ওই কর্মশালায় অপসাংবাদিকতা রোধে নানা তথ্য তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান ও জেলা তথ্য অফিসার মো. নুরুল আমিন। কর্মশালায় জেলার মোট ৩৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

            সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ও প্রস্তাব তুলে ধরেন, দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, প্রেস ক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, সাংবাদিক নজরুল হক অনু, প্রেস ক্লাব যুগ্ম সম্পাদক হোসাইন সাদী, একুশে টিভি প্রতিনিধি মেজবাহউদ্দিন শিপু, চ্যানেল-২৪ প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু।

            অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন, সাংবাদিক মো. মনিরুল ইসলাম, পবিত্র গীতা পাঠ করেন নাগরিক টিভি প্রতিনিধি মলয় চন্দ্র দে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভোলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সংগঠনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন সুলতান ও সম্পাদক অমিতাভ অপু ফুল দিয়ে প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা জানান। সুত্র: আমাদের মাতৃভূমি

Share This