হজের খুতবায় বলা হলো: “হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-এর আনুগত্য করো”
২৩ Views
পবিত্র আরাফাত-এর ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। শনিবার ১৫ই জুন বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩ টা ১৪ মিনিটে শুরু হয় হজের খুতবা। হজের খুতবায় তিনি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন। তিনি বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে- যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি বলেন, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন।
কোরআন এমন একটি গ্রন্থ- যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়। খুতবায় তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে যে তাকওয়া অবলম্বন করবে- আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে- আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন। মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল। হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন।
প্রকাশ থাকে যে, ইসলামের বিধান মোতাবেক, ১০ই জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ই জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে। Courtesy: Jugantor