শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মতিউর রহমানের পরিবারের শতাধিক অ্যাকাউন্ট, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ

মতিউর রহমানের পরিবারের শতাধিক অ্যাকাউন্ট, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ

ষ্টাফ রিপোর্টার: বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২ হাজার ৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১১ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- সভারে ২৬.৬১ শতাংশ জমি, ভালুকায় ১০৪ শতাংশ, ভালুকায় মতিউরের ভাই এ এম কাইউম হাওলাদারের মালিকানাধীন গেøাবাল সুজের ৯৫৮ শতাংশ জমি, গাজীপুরে আপন ভুবন লি. এর ৮৭৫.৯৫ শতাংশ জমি, নরসিংদীর শিবপুরে মতিউরের স্ত্রী লায়লার নামে ৩৮ শতাংশ, ছেলে অর্ণবের নামে ১২৬ শতাংশ, মেয়ে ইপ্সিতার নামে ৭২ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় লায়লা কানিজের নামে ১৬৬ শতাংশ জমি। এছাড়া মিরপুরের শেলটেক বিথীকা প্রকল্পে ১৮১২ স্কয়ার ফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও শেয়ার বাজারে তাদের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট, ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২রা জুলাই বিকেলে দুদক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন জানান, ছাগলকান্ডে আলোচিত মতিউর ও তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব বিবরণীর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে এ হিসাব দিতে বলা হয়েছে। মতিউর ছাড়া বাকিরা হলেন- মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলী।
সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের টাকার অনুসন্ধানে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা সরানোর তথ্য মিলেছে। ১১৫টি ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ৪ কোটি টাকা রয়েছে। আর ছাগলকান্ড নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই এসব হিসাব থেকে ৮ কেটি টাকা তুলে নেন মতিউর।
তাছাড়া, গত ৩০শে জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ক্রয়কৃত কোনো জমি আছে কি না, সেটি জানতে দুদক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দিয়েছেন।

Share This