বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোমতী নদীর ব্রিজ ভাঙায় তিতাসে  লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি

গোমতী নদীর ব্রিজ ভাঙায় তিতাসে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি

১৮ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার তিতাসের আসমানিয়া বাজার সংযোগ গোমতী নদীর ব্রিজটি ভাঙায় লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দ্রæত ভাঙা ব্রিজটি পুনর্র্নিমাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। গত রোববার সকাল ১১টায় আসমানিয়া বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

            জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে (এলজিইডি) চলতি বছরের শুরুতে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বিকল্প চলাচলের জন্য ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে। পরবর্তীতে নদীতে চলাচলরত বল্কহেডের ধাক্কায় গত ২৯শে মে ব্রিজটি ভেঙে যায়। এরপর পুনর্র্নিমাণ করা হলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বানের প্রবল ¯্রােতে ২১শে আগস্ট ব্রিজটি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ খবর রাখেনি বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনে আসা বক্তারা।

            কুমিল্লার হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর, তিতাসসহ চার উপজেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এসব এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আসমানিয়া বাজার ব্যবসায়ী ও ছাত্র-জনতার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারান্দিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আদিলুর রহমান ভূঁইয়া, আরিফুল ইসলাম হানিফ, মহিউদ্দিন খুসু, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম প্রমুখ।

            এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাজারের ব্যবসায়ী হাতাব ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, দুলাল আহমেদ, ইমন কাজী, মাইন উদ্দিন তুষার ইমরান, ছবির হোসেন মেম্বার, গ্রামিণ প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, রাইন আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, ইকরা স্কুলের পরিচালক মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমসহ স্থানীয়রা।

            এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মানববন্ধনের বিষয়টি আমি দেখেছি। জনগণের দাবি অনুযায়ী আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। খুব দ্রæততম সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই বিকল্প ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

            এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকা বলেন, পুরাতন ব্রিজটি রেখে নতুন ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু কোন পাশে সড়ক ও জনপদের জায়গা না থাকার কারণে পূর্বের ব্রিজের জায়গাটিতেই নতুন ব্রিজটি নির্মাণ করতে হবে বলে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে ফেলে। তখন তারা ব্রিজটি ভেঙে পাশে যে ড্রাইভেশন ব্রিজ করছে নদীর প্রবল ¯্রােতে ভেঙে গিয়ে ভেসে যায়।

এখনো পর্যন্ত ব্রিজটি ঠিক করা হয়নি। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে বলবো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রæত ব্রিজটি যেন নির্মাণ করা হয়।

Share This

COMMENTS