শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের বিভিন্ন পুকুরের পাশে গার্ডওয়াল না থাকায়  ধসে পড়ছে সড়কঃ জনসাধারন ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি

লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের বিভিন্ন পুকুরের পাশে গার্ডওয়াল না থাকায় ধসে পড়ছে সড়কঃ জনসাধারন ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি

১৪ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লা জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও জনপথের নির্মিত লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কের পাশে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি খসে পড়ছে পুকুর, জলাশয় ও মৎস্য প্রজেক্টে। এতে ভাঙা সড়কে ছোট-বড় যানবাহনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

            এছাড়া ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির লাকসাম অংশে দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে সড়কটির বিভিন্নস্থানে বড় ধরনের খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সকল যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কটির বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের কাদবা পুকুর পাড় মোড়, পরিকোট ভূঁইয়া পুকুর পাড়, পার্শ্ববর্তী জলাশয় এবং নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টে সড়কটি ভেঙে পড়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করছে। ফলে যে কোন মূহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। ভূঁইয়া পুকুর পাড়ে চালবাহী একটি ট্রাকটর পানিতে পড়াসহ সম্প্রতি চৌদ্দগ্রামের গার্মেন্টসের কর্মী বহনকারী একটি বাস সড়কটির পাশে আটকে গিয়ে র্দীঘক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে কর্মীদের পায়ে হেঁটে তাদের বাড়ি যেতে হয়।

            সড়কটির পরিকোট অংশসহ বিভিন্নস্থানের বেহাল দশায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুরের রহমান গত ২০শে সেপ্টেম্বর সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

            সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের কাদবা পুকুর পাড় মোড়, পরিকোট ভূঁইয়া পুকুর পাড়, পাশ্ববর্তী জলাভূমিতে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পুকুর এবং জলাভূমিতে বিলীন হয়ে সড়কটি ছোট হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া চৌদ্দগ্রামের ছাতিয়ানি পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টেও গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি ভেঙে পুকুরে বিলীন হতে দেখা যায় । ফলে সড়কটি দিয়ে মালবাহি ট্রাক-ট্রাকটর, কাভার্ডভ্যান, যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস, বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলে একটু এদিক-সেদিক হলে বড়ধরণের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।

            এদিকে ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির লাকসাম অংশে নরপাটি জামতলা থেকে গাইনের ডহরা হয়ে কাদরা পর্যন্ত দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সড়কটির বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে জনগন ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষ করে নরপাটির জামতলা, গাইনের ডহরা এবং কাদরা এলাকায় বড়ধরণের একাধিক খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট-বড় যানবাহনকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে।

            পরিকোট গ্রামের ফয়সাল মজুমদার জানান, সড়কটির পরিকোট ভূঁইয়া পাড় এবং পাশ্ববর্তী জলাশয়ে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পুকুরে বিলীন হওয়ায় সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় যানাবাহনকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত স্থানটিতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছাতিয়ানি পশ্চিমপাড়া গ্রামের রুবেল বলেন, নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টে সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পড়ে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মৎস্য প্রজেক্টের পূর্ব পাড়ে আমাদের বাড়ির অংশে আমরা গার্ডওয়াল নির্মাণ করলেও মৎস্য প্রজেক্টের কারণে আমাদের বাড়িটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা চালক শহিদ জানান, সড়কটির লাকসাম অংশে নরপাটি, জামতলা, গাইনের ডহরা ও কাদরা এলাকায় একাধিক খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে।

            এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী বশির খাঁন বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুরের রহমান গত ২০শে সেপ্টেম্বর সড়কটির পরিকোট অংশসহ বিভিন্নস্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গার্ডওয়াল নির্মাণ এবং সংস্কার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় ফান্ড ফেলে এবং পুকুরের পানি কমলে দ্রæত সড়কটির উন্নয়ন কাজ করা হবে।

Share This

COMMENTS