বুধবার, ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে গৃহীত পদক্ষেপ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা: শেখ হাসিনা পরিবারের জব্দ ১২৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার খবর

<span class="entry-title-primary">‘পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে গৃহীত  পদক্ষেপ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা:</span> <span class="entry-subtitle">শেখ হাসিনা পরিবারের জব্দ ১২৪ ব্যাংক  অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার খবর</span>
১১৭ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান মিলেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রের অন্তর্গত ব্রিটিশশাসিতঅঞ্চল কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জসহ পাঁচটি দেশে।

            গত সোমবার (১০ই মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও যৌথ তদন্তদল অনুসন্ধানে অবৈধভাবে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্পদের সন্ধান পেয়েছে।

            প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বিএফআইইউ ও যৌথ তদন্ত দলের অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপ কেইম্যানে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকেও রাশিয়ান ‘স্ল্যাশ ফান্ডের’ অস্তিত্ব পাওয়া যায়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫.১৪ কোটি টাকা, রাজউকের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা (দলিল মূল্য) মূল্যের ৬০ কাঠা প্লট ও ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমিসহ ৮টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা করা হয়। ছয়টি মামলার তদন্ত সম্পাদন ও চার্জশিট দাখিল এবং পরিবারের সাত সদস্যকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি আরো বলেন, বিএফআইইউ দু’টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকাসহ ১১টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে। সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।

            উলে­খ্য, সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, গৃহীত পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ’ -শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায়ও এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

            ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে যে ১১টি অর্থপাচারের মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে, তার মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ পাচার মামলা এক নম্বরে রয়েছে। এছাড়া, শেখ হাসিনা পরিবার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া ৬টি মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং পরিবারের ৭ সদস্যকে বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Share This