মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সালিশে ধর্ষকের শাস্তি ৬টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা !

সালিশে ধর্ষকের শাস্তি ৬টি জুতার  বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা !
৬৪ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার মুরাদনগরে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা সুরাহা করতে সালিশে বসে গ্রাম মাতবররা। বিচারে শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত বাবুলকে ৬টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার এ বিচার না মানলেও শিশুটির নানির হাতে জোর করে টাকা ধরিয়ে দেন মাতবরবা। শুধু তাই নয়; সালিশে শিশুটির পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়, মাতব্বরদের সিদ্ধান্ত না মেনে থানায় অভিযোগ করলে ছাড়তে হবে বসতভিটা।

            ভুক্তভোগী শিশুটির নানি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি গ্রামের মাতবরদের জানালে তারা সালিশ বৈঠক ডাকার পরামর্শ দেন। আর মাতবরদের কথা অমান্য করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ক্ষতি হতে পারে বলে হুমকি দেয়া হয়। এই ভয়ে ঘটনার ১৫ দিন পর সালিশ ডাকেন ভুক্তভোগীর নানি। সেখানে বাবুলকে ৬টি জুতার বাড়ি এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাবুলের পরিবার থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে মুখ খুললে গ্রামছাড়া করা হবে।

            অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৬ জন মাতব্বর নিপীড়নের অভিযোগ ওঠা বাবুল মিয়ার কাছ থেকে নেয় ৫ হাজার টাকা। সেই ৫ হাজার টাকা আবার ৬ মাতব্বরের মধ্যে বণ্টন নিয়ে বাধে বিপত্তি। চার মাতব্বর নেয় ১ হাজার টাকা করে এবং দু’জনকে দেয়া হয় ৫০০ টাকা করে। সমহারে টাকার ভাগ না পেয়ে মাতব্বররা একে অপরের বিরুদ্ধে তুলছেন অভিযোগ।

            সালিশে থাকা একজন বলেন, সালিশের পর অভিযুক্তর কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীন মিয়াসহ ৬ মাতবরের জন্য নেয়া হয় আরও ৫ হাজার টাকা। সেই টাকা থেকে শাহীন, জাফর আলীর ছেলে বাবুল, সৈয়দ আলীর ছেলে বাবুল ও শাহজালাল নেন ১ হাজার করে। বাকি ১ হাজার টাকা দেয়া হয় কবির ও সাগরকে।

            এ বিষয়ে শাহীন বলেন, সালিশে জুরি বোর্ড পরিচালনা করেছেন ছন্দু মিয়া, রেনু মিয়া, সাগর, রাজু ও কবির। পরে বিচারের রায় অনুযায়ী অভিযুক্তকে তার বড় ভাই জুতাপেটা করেন এবং জরিমানার ৫ হাজার টাকা শিশুটির নানির হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

            মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

Share This

COMMENTS