সব নাগরিক সেবা মিলবে এক ডিজিটাল ঠিকানায়


প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও উদ্যোক্তাদের সহায়তায় সহজেই সব ধরনের সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন— এমনকি যারা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানেন না, তারাও এই সেবা পাবেন।
গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার তথ্য বিবরণীতে এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, “জনগণের হয়রানি ও সময় অপচয় কমিয়ে ঝামেলামুক্তভাবে সরকারি সেবা দিতে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা, অবকাঠামো ও সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজও চলছে।”
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “আগে সরকারি সেবাগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ও আংশিক ডিজিটাল। ফলে সেবা পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছিল ব্যাপক। এখন নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একবার লগইন করেই বহুমুখী সেবা গ্রহণ করা যাবে, যা সময়, অর্থ ও শ্রম—সবই সাশ্রয় করবে।”
বর্তমানে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৮১টি সরকারি সেবা দেওয়া হচ্ছে। গুলশান ও উত্তরার দুটি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই নীলক্ষেতেও আরেকটি সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে।
পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে এই প্ল্যাটফর্ম বিস্তৃত করা হবে।
‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে অনলাইনভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মের মূল লক্ষ্য— সরকারি সেবা সহজে, স্বচ্ছভাবে ও দ্রুততম সময়ে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ পাইলট প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।