শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগ যারা করে তাদের একটারও  চরিত্র নাই: দেবীদ্বারে কাদের সিদ্দিকী

আওয়ামী লীগ যারা করে তাদের একটারও চরিত্র নাই: দেবীদ্বারে কাদের সিদ্দিকী

৭৮ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ আওয়ামী লীগ যারা করে তাদের একটারও চরিত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)। গত শুক্রবার সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ফাঁসির দন্ড মওকুফ পাওয়া রাখাল চন্দ্র নাহারকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন নেতা ছিলেন, তার নাম নিয়াজি। সে আওয়ামী লীগে আসলে তাকে নিয়ে নাচতে সময় লাগবে না। আপনাদের চরিত্র তো নাই। নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদেরও একটা চরিত্র আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাদের কারও চরিত্র নাই।  আমরা কথা তিতা লাগতে পারে। এতে আমি ডরাইও না।

            তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। এখন আওয়ামী লীগের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। যেখানে মতিয়া চৌধুরী থাকে, যে বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিল! আপনাদের এক মিনিটের জন্যও তা গায়ে লাগে না। তাকে নিয়ে আমার বোন (প্রধানমন্ত্রী) বসে থাকে! ওই আওয়ামী লীগে আমি যাবো?  হাসানুল হক ইনুকে  আপনারা চেনেন? জাসদ করতো, যে জিয়াউর রহমানের মুক্তির জন্য টাংকের ওপর লাফাইছে। সেই লোক আপনার মন্ত্রিসভার সদস্য। এই আওয়ামী লীগে আমি যাবো?

            বঙ্গবীর আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীর পিতা, জাতির পিতাই হওয়া উচিত ছিল। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের পিতা না। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশে কেন বাস করবে? বাংলাদেশে বাস করতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হবে। ভোট চুরি করেন! ২০১৮ সালে এইটা একটা ভোট হইছে ? তারপরও আপনারা নেতা? নৌকা মার্কা হইলেই পাস। এখন দেখবেন নৌকা আনলে খালি ডুববেন। তা কি চান আপনারা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক? যে নৌকা দেখলে মানুষের চোখে পানি আসতো, সে নৌকা মানুষ এখন আর ভালোবাসে না। ঢাকা-১৭ তে আওয়ামী লীগের ভোটই আছে লাখের ওপরে। কয়টা ভোট হইছে ? চার হাজার-পাঁচ হাজার! আপনাদের লোকেরাই ভোট দিতে যায় না, তাহলে পাগল-ছাগলদের ভোট দিতে মানুষের কি ঠেকা পড়ছে। মুক্তিযুদ্ধ কি এজন্য করেছিলাম? আমি মানবের দেশ চেয়েছিলাম, দানবের দেশ নয়।

            রাখাল নাহার ফাঁসি মওকুফ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, রাখালের ফাঁসির দন্ড মওকুফ করাতে সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ ও ফখরুদ্দিন আহমেদের কোনো ভূমিকাই ছিল না। তারা শুধু ওইটুকু বলেছিলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি হোক এটা আমরাও চাই না। তখন ইয়াজ উদ্দিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনিও বলেছিলেন, আমার কিচ্ছু করার নাই। পরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী  রাখাল চন্দ্র নাহার হাতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত ‘বীর নিবাস’ একটি ঘরের অনুমোদনপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।

Share This

COMMENTS