ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা সংক্রান্তে পরিপত্র জারি

ষ্টাফ রিপোর্টার॥ অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা সংক্রান্তে এক পরিপত্র জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ–১ শাখা থেকে গত বুধবার ১৫ই মে ২০২৪ তারিখে এই পরিপত্র জারি করা হয়।

এতে করে সরকারি কর্মকর্তাদের মতো চেয়ারম্যানদেরকেও নির্ধারিত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। সহজে এবং কম সময়ে সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এমন নির্দেশনা দিয়ে চেয়ারম্যানদেরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত উক্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে যে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর খুবই কাছাকাছি থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে।

এ ধরণের সেবা আরো সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় তা পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।  এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে অন্যান্য সেবা প্রদান এবং গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ নানাবিধ সেবা দিয়ে থাকেন। এতে করে জনগণ সাধারণত অফিস সময়ে (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা) ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গ্রহণ করে থাকেন। এলাকার জনগন সাধারণত: অফিস সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

সেহেতু ইউনিয়ন পরিষদে প্রদেয় সেবা সহজে এবং যথাসময়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে চেয়ারম্যানগণকে সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ে নিজ নিজ ইউপি অফিসে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। এর ফলে কম সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে এবং কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে অধিকতর সক্রিয় হবেন। তবে কোনো কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ অধিক্ষেত্রের বাইরে অবস্থান করলে বা অফিসে উপস্থিত থাকতে না পারলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসককে অবহিত রাখবেন।

আসলেই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সহজে এবং যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চেয়ারম্যানদের সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকা অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে কম সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে এবং কর্মচারীরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে অধিকতর সক্রিয় হবেন বলে আশা করা যায়।