বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইসলামি দলগুলোই হবে আগামী দিনের রাজনৈতিক শক্তি: ইসলামী আন্দোলনের আমির

ইসলামি দলগুলোই হবে আগামী  দিনের রাজনৈতিক শক্তি:  ইসলামী আন্দোলনের আমির
১০ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ দেশের ইসলামি দলগুলোই আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। গত ২৮শে জুন (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে তিনি এমন সম্ভাবনার কথাগুলো বলেছেন।

 মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ইসলামপন্থিদের ঐক্যের ব্যাপারে গণ-আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে। এতে করে জোটবদ্ধ ইসলামি দলগুলো হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।

            পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অবমূল্যায়ন রুখতে সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। এতে করে সংস্কারের প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অটল ও অবিচল জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান জনগণের বিশ্বাস ও আশা-আকাঙ্খার পরিপন্থী। এই সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে। আজ দরকার রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। জুলাই অভ্যুত্থান শুধুমাত্র শাসক পরিবর্তনের জন্য ছিল না; এটি ছিল একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আন্দোলন।

            তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ২৪শে জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের বিচার না করে নির্বাচন করা চলবে না। গণহত্যা, গুম, লুটপাটের জন্য ফ্যাসিস্ট চক্রের কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না। নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার দাবি করে তিনি বলেন, যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের তত আসন থাকতে হবে। এটি জনগণের, জেনজি প্রজন্মের এবং সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের যৌক্তিক দাবি। প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নিতে হবে।

            মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বারবার রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সফলতা পাইনি, কারণ ভুল নেতা ও নীতির হাতে দেশ তুলে দিয়েছি। এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্যের সময় এসেছে। এক বাক্সে ভোট নিলে ইসলামপন্থীরাই হবে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বতী সরকার। আমরা নিঃস্বার্থভাবে এই সরকারের পাশে আছি। তবে সরকার যেন সংস্কার ও নিরপেক্ষতার পথ থেকে বিচ্যুত না হয়।

            কৃষক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ। নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। ওদিকে, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে। এ জন্য মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বাইতুল মুকাদ্দাসের মুক্তির জন্য। লামায়ে কেরামের মর্যাদা প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, কিন্তু অবহেলিত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দায়িত্ব পেলে আপনাদের মর্যাদা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখন সময় ঘরে ফসল তোলার। গ্রামে-গঞ্জে, কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে দাওয়াত দিন, ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরুন। এতে করে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ।

Share This