ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দেশের বেসরকারি পর্যায়ে নিম্ন-মাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠদানকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। তবে এ বছর ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে মাত্র ২৪ হাজার ৬৪৮টি প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বেঁধে দেয়া সময়সীমা ৩০ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে, অন্তত ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমপিও-ননএমপিও নির্বিশেষে এন্ট্রি লেভেলের (প্রভাষক, সহকারী শিক্ষক ইত্যাদি) শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের একমাত্র দায়িত্ব এনটিআরসিএ’র। এনটিআরসিএ সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য জানাতে ই-রেজিস্ট্রেশন হলো প্রথম ধাপ। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন করেনি, তারা শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) জানাতে পারবে না। ফলে, এই ১৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে পাঠদান ব্যাহত হলেও এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে কিছু করার থাকবে না।
তবে এত বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান কেন ই-রেজিস্ট্রেশনের বাইরে থেকে গেল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এদিকে এনটিআরসিএর ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রবেশ পর্যায়ের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনা) থেকে এমপিওভুক্ত শূন্যপদের অনলাইনে চাহিদা সংগ্রহের কার্যক্রম ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্ভাব্য শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ চলবে। চাহিদা ফি অনলাইনে জমা দেয়ার শেষ সময় ১৩ নভেম্বর রাত ১২টা। এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে ই-রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।