শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা
২৩৭ Views

            খান মোহাম্মদ রুবেল হোসেন\ কুমিল্লার লালমাইয়ে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্থতা। পশু কুরবানিতে ব্যবহৃত দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে তারা, তাই দম ফেলার ও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের।

            কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

            লালমাই’র বাগমারা বাজারের কামার শিল্পী রাজন কর্মকার বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।

            ক্রেতা সালমান খান বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি।

            কামার শিল্পীদের কাছে বটি ক্রয় করতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব।

            তিনি বলেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিস শাণ (ধারালো) করতে মানভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে।  ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে। কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে আগামী মাস অথ্যাৎ জুন মাসের ৫ তারিখ ঈদ হওয়ার কথা। এখনো প্রায় ১ মাস বাকী, সময়ের সাথে বেচাকেনা বাড়বে।

            এদিকে, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪শ’ থেকে ৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮শ’ থেকে ৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।

            টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আরো ১ মাস বাকি আছে। তাই কামার পল্লীগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে তুলনামূলক কিছুটা কম। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।

Share This