উদ্বোধনের ৪ বছর পরও চালু হয়নি নাল্লা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম


নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের নাল্লা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকটি উদ্ভোধনের দীর্ঘ ৪ বছরেও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থাকছেন হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লিনিকটির দরজায় এখনো ঝুলছে তালা, আর ভেতরের অবস্থা খুবই করুণ। বখাটেদের আড্ডা চলছে এখানে, জানালার গøাস ভেঙে গেছে, পানির ট্যাংক চুরি হয়ে গেছে এবং শুরুতে বিদ্যুৎ-সংযোগ থাকলেও বর্তমানে তাও নেই। দেয়ালের প্লাস্টার ঝরঝর হয়ে যাচ্ছে এবং দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ধুলাবালু ও মাকড়শার জালে ভরে গেছে কক্ষগুলো। এই অবস্থায় এলাকার মানুষ চিকিৎসাসেবা পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশায় সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকটির নির্মাণকাজ ২০১৮ সালে শেষ হলেও ২০২২ সালে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করা হয়। তবে উদ্বোধনের পরও কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে করে এলাকার মানুষদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, বয়স্ক, শিশুসহ নানা রোগে আক্রান্ত লোকজনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই ক্লিনিকটি কার্যক্রম শুরু না হওয়ার কারণে তাদের চিকিৎসাসেবার জন্য দূরবর্তী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের জন্য অনেকটাই কষ্টকর।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকার মানুষরা অনেক দিন ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। কমিউনিটি ক্লিনিকটি তাদের একমাত্র আশার জায়গা ছিল। তবে উদ্বোধনের চার বছর পরও এর কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় তারা হতাশ। তারা আশা করছেন, সরকার শিগগিরই এই কমিউনিটি ক্লিনিকটি চালু করবে। সরকারের দ্রæত উদ্যোগে এটি চালু হলে এলাকার মানুষ সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন এবং বিপদের সময় চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান রিপন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এলাকার জনগণের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই, দ্রæত এ ক্লিনিকটি চালু হোক, যাতে এলাকার মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা পেতে পারেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ হাসিবুর রেজা বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকটি চালু করতে বেশ কিছু প্রশাসনিক জটিলতা ছিল। তবে আমরা দ্রæত এ ক্লিনিকটি সচল করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি, শিগগিরই এ ক্লিনিকটি পূর্ণরূপে চালু হয়ে এলাকার জনগণকে সেবা দিতে সক্ষম হবো।’