এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ ৫ সিম: জানুয়ারি থেকে কার্যকর বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত


দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইল সিম ব্যবহারে আরও কঠোরতা আনছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে বিটিআরসি জানায়, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না, অতিরিক্ত সিমগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগে একজন নাগরিক ১৫টি পর্যন্ত সিম ব্যবহার করতে পারতেন।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় একজনের এনআইডিতে সর্বোচ্চ সিম সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হবে ৫টি। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হবে এবং অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে।
গত ২৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, “নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিম ব্যবহারের সংখ্যা সীমিত করা হবে। বর্তমানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারেন, সেটি ধীরে ধীরে কমিয়ে পাঁচ থেকে সাতটিতে আনা হবে।” সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো ব্যক্তি পর্যায়ে সিম ব্যবহারের সংখ্যা আরও কমিয়ে মাত্র দুটি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করা।
অন্যদিকে, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ৩১ অক্টোবরের পর একজনের নামে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না, এবং ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত সিমের সংখ্যা ১৯ কোটির বেশি। অনেকেই একাধিক সিম ব্যবহার করেন, এমনকি অনেকে অন্যের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ান। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অনিয়ম রোধে সিম ব্যবহারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
