শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য গ্রেপ্তার ঃ অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লার আলোচিত কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রতন গ্রæপের পাঁচজন ও ঈগল গ্রæপের ১১ রয়েছেন।

            গত শনিবার (৩রা ফেব্রæয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো.আব্দুল মান্নান।

            এর আগে শুক্রবার (২রা ফেব্রæয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সার্কিট হাউস ও শিল্পকলা একাডেমির সামনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রæপের সদস্যদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

            পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউস মোড় এলাকায় কিশোরদের গ্যাং রতন গ্রæপ ও ঈগল গ্রæপের সদস্যদের মধ্যে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রæপের কয়েকজন আহত হয়। দুই গ্রæপের সদস্যরা এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় পুলিশ ৯ জনকে ১০টি দেশীয় অস্ত্র ও ৯টি ককটেলসহ আটক করে। পরে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক দল রাতভর কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই গ্রæপের আরো ৭ জন কিশোর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে।

            পুলিশ সুপার আরো জানান, আধিপত্য বিস্তার, ক্রিকেট খেলাসহ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ‘রতন গ্রæপ’ ও ‘ঈগল গ্রæপের’ সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

            শুক্রবারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রায় সবাই কিশোর। ককটেল বিস্ফোরণ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য কিশোরদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে ঘটনার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে।

            সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও ডিবি) মো. নাজমুল হাসান, কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়–য়াসহ জেলা পুলিশের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

            উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুমিল্লার সার্কিট হাউস মোড়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে ওই দুই কিশোর গ্যাং। দুই গ্রæপে অন্তত একশ জন কিশোর এতে অংশ নেয়। তারা অস্ত্র প্রদর্শন ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বেশ কয়েকজনের হাতে রামদা দেখা যায়। সংঘর্ষের সময় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তখন আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ ভয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে।

Share This

COMMENTS