বুধবার, ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লা সদর দক্ষিনে সড়ক ও জনপদের জায়গায় ফিলিং স্টেশন নির্মানের চেষ্টা

কুমিল্লা সদর দক্ষিনে সড়ক ও জনপদের  জায়গায় ফিলিং স্টেশন নির্মানের চেষ্টা
৪৪৫ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণে  সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে ফিলিং স্টেশন। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিং স্টেশন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। একইভাবে ফিলিং স্টেশনের নাম লিখে সাইনবোর্ডও লাগানো হয়েছে। দখলকারী ব্যক্তি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ চৌয়ারা এলাকার রায়পুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মোতাহের হোসেন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম জোড়কানন এলাকার ভাটপাড়া মহাসড়কের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে সওজের জায়গা দখল করে জলাশয় ভরাটের কাজ চলছে। পাশেই লাগানো আছে একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডে লিখা প্রস্তাবিত মধু এলপিজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন। এখানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মালিকানাধীন আনুমানিক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি রয়েছে। প্রস্তাবিত মধু এলপিজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন সাইনবোর্ডের সামনের জায়গাটি সড়ক বিভাগের। সেখানে ছিল জলাশয়। এখন এ জলাশয় ভরাট করে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জলাশয় ভরাট করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পত্র লাগে। কিন্তু কোনো রকম অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। আইনের তোয়াক্কা না করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৫০ শতক জায়গা দখল করে নিচ্ছে। সড়ক বিভাগ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গত ২৬শে জুলাই প্রশাসনের মাধ্যমে জলাশয় ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর জলাশয় ভরাটের অভিযোগ পাওয়ার পর পরিদর্শন করে তার সত্যতা পায় এবং মোতাহের হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিশও দেয়। ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহাম্মদ বলেন, যিনি ফিলিং স্টেশন করতে চায় তার এখানে জমি আছে মাত্র ১০ শতক। অথচ ফিলিং স্টেশন দিতে হলে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২৬ শতক জমি প্রয়োজন।

তার এমন জমি ওখানে নেই। সে সড়ক বিভাগের ৫০ শতকের বেশি জলাশয় দখল করতে অলরেডি কিছু বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। এই বিষয়টি সড়ক বিভাগকে অবগত করেছি। আশা করি ওনারা দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মোতাহের হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, সওজ’র জায়গা দখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুনায়েত আমিন রেজা বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হওয়ার  পর কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।

Share This