কোটা আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বলপ্রয়োগ, সারা দেশে গণগ্রেফতার এবং মতপ্রকাশে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ও আহতের ঘটনায় জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এমএ হাশেম রাজু, অ্যাম্বাসেডর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের তদন্ত বিষয়ে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
আইএইচআরসি মনে করে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ২১২ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, তাদের নিরস্ত্র অবস্থায় কাছ থেকে গুলি করা, বাসাবাড়ি বা ছাদ থেকে গুলি করে শিশুদের হত্যা এবং সরকারদলীয় সংগঠনের হামলার ভিডিও ও তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। এসব ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সারা দেশে কম বয়সি তরুণসহ বিরোধী মতের মানুষকে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া ৮৭ শতাংশের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। ফলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের মধ্যে রয়েছে।
রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেখানে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা স্পষ্ট দেখা গেছে; কিন্তু এ ঘটনায় প্রকৃত সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে ছাত্রদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।
আইএইচআরসি মনে করে, এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত নিহত ও হতাহতের সংখ্যা বের করতে হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে সব পক্ষকে সংযত আচরণ করতে হবে।