গোমতী নদীর দু’তীরের সব অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের


ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লার গোমতী নদীর দু’তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত রোববার (৩রা আগস্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন, নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, ‘গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্তে¡ও সেখানে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর। আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়; দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।’
স্থানীয়রা জানান, গোমতী নদীর দুই পাড়ে সদর টিক্কাচর, পালপাড়া, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তারা আদালতের এমন রায়কে সাধুবাদ জানান।