শুক্রবার, ১লা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী মনোহরগঞ্জের উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর গ্রামের সংযোগ সড়কে বাঁশের সাঁকো

<span class="entry-title-primary">চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী</span> <span class="entry-subtitle">মনোহরগঞ্জের উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর  গ্রামের সংযোগ সড়কে বাঁশের সাঁকো</span>
Views

            আবুল কালাম আজাদ\ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর গ্রামের সংযোগ সড়কটি পাকা করনের কাজ শুরু হলেও ঠিকাদরের অবহেলার কারণে বর্ষা মৌসুমে সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার উপায়-অন্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে সড়কের ওপরে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

            শ্রাবণের এই বৃষ্টির মৌসুমে এখানকার ২ গ্রামের (উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর) স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু মিলছে না কোনো প্রতিকার!

            গত রোববার (২৭শে জুলাই) সকালে সরেজমিন গিয়ে উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর গ্রামের সংযোগ কাঁচা সড়কে পথচারীদের এমন চরম ভোগান্তি চিত্র দেখা যায়।

            জানা গেছে, মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ও নারায়নপুর গ্রামের সংযোগ সড়কটি ২ কিলোমিটার। সড়কটি নির্মাণের পর থেকেই সংস্কার না করায় ধীরে ধীরে কাঁচা রাস্তার মাটি ফসলি জমির মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সড়কের ওপর পানি জমে হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে যায়। এই কাদা রাস্তা পাড়ি দিয়েই প্রতিদিন উত্তর হাওলা, নারায়নপুর, গুলশান পাড়া গ্রামের ২ থেকে ৩ হাজার লোক জরুরি কাজের জন্য এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে।

            এছাড়া, সড়কের পানি ও কাদা পেরিয়ে রোগী, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে এবং বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশাজীবী মানুষ কষ্ট করে চলাচল করে থাকে। প্রায় সময়ই পানি এবং কাদায় পড়ে শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড়, বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, কাদার পরিমাণ বেশি থাকায় বৃদ্ধ নারী এবং পুরুষরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে ভয় পায়। তাই নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসীর চাঁদার টাকায় পানি-কাদা রাস্তার ওপরে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে রিকশা নিয়ে চলাচল করতে হয়।

            পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমার স্কুলেই যেতে ইচ্ছে করছে না! দুই একদিন ছাড়া প্রায় সময়ই জামা-কাপড়ে কাদা মেখে যায়! আছাড় খেয়ে বই-খাতা পানিতে ভিজে যায়!

            স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল গফুর বলেন, দাদু ভাই তোমরা কাদা পানি ভেঙে আইছো মোগো খোঁজ খবর নিতে! এই কাদা-পানির মধ্যে তো জীবনের অনেক সময় পার করছি। তবে এখন এককালে ভোগান্তির চরম দশায় পৌঁছে গেছে।

            উত্তর হাওলা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, বর্ষা আসলেই আমাদের চিন্তার কোনো শেষ থাকে না! দিনের পর দিন চিন্তা ও হতাশার মধ্যে কাটাতে হয় আমাদের। চলার কোনো উপায় মিলাতে না পেরে সর্বশেষ গ্রামবাসী সবাই মিলে রাস্তার ওপরে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে জরুরি কাজে ঘরের বাইরে বের হচ্ছি।

            উত্তর হাওলা ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, এই সড়কটি পাকা করনের জন্য কাজ শুরু হয়েছিলো। ঠিকাদারের অনিয়ম ও অবহেলার কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আশা করি শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু হবে।

            মনোহরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহ আলম বলেন, সড়কটি পাকা করনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর কাজও শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ঠিকাদার কেন কাজটি বিলম্বিত করছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

Share This

COMMENTS