সোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাটখিলে গ্রামীন সড়কের বেহাল দশা  দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ

চাটখিলে গ্রামীন সড়কের বেহাল দশা দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ

Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ সংস্কারের অভাবে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া ও যষোড়া গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দু’গ্রামের হাজারো মানুষ এবং স্কুল-মাদরাসায় পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা।

            জানা গেছে, উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার দোকানগুলো থেকে যষোড়া দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত নির্মিত রাস্তাটি এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যষোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তার পাশে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাদরাসা। প্রায় ১৫ বছর পূর্বে এ রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তাটির বেশিরভাগ স্থানে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।

            সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এ রাস্তার মাঝে অসংখ্য ছোট বড় খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বোঝার উপায় নেই যে রাস্তাটি এক সময় পাকা ছিল। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে উপজেলা সদরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ রোগীদেরকে। বিশেষ করে স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

            অটোচালক মতিনের বাড়ি যষোড়া । অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।

হারুন রশীদ, বাহার, আবুল বাসার, ইয়াসিন পাটোয়ারীসহ স্থানীয়রা জানায়, যষোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ১৫ বছর পূর্বে এ রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি মেরামত না করায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি গ্রামের মধ্যে রিক্সাওয়ালারাও আসতে চায় না।

            এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল বলেন, আমি এ রাস্তাটির বেহাল দশার অবস্থা দেখেছি। উপজেলায় এই রাস্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

            এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ রাহাত পাটোয়ারী বলেন, আমি এই উপজেলা নতুন এসেছি। এখনও সকল রাস্তার বিষয়ে অবগত নই। তবে আমি বিষয়টি দেখব। সার্ভেয়ার ফিরোজ বলেন, রাস্তাটির অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। এখন পর্যন্ত মেরামতের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ হয়নি।

Share This

COMMENTS