চৌদ্দগ্রামে তিন পরিবারের ১২ সদস্যকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্প্রে ছিটিয়ে তিন পরিবারের ১২ সদস্যকে অচেতন করে প্রায় ৪ লাখ টাকা ও ৪ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গত শনিবার (৩০শে আগস্ট) রাতে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের জিনিদকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রোববার থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদেরকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

            স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো চিওড়া বাজারের একতা ট্রেডার্সের মালিক আবদুস সাত্তার শনিবার রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। ঘরে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর তার ছেলে আবদুল্লাহ আল কায়েস বলেন যে তাঁর মাথা ঘোরাচ্ছে। পরে কায়েসসহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তার পরিবারসহ ৩ পরিবারের কেউ ঘুম থেকে না উঠলে আশপাশের লোকজন গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় আবদুস সাত্তার, তার পিতা মো. শাহজাহান, ছেলে আবদুল্লাহ আল কায়েস ও আবদুল্লাহ আল শুভ, পাশের ঘরের মো. সোলেমান, তার স্ত্রী রাশেদা বেগম, ছেলে মো. সাজ্জাদ, ঝুমুর আক্তার, নুপুর আক্তার ও নিহা আক্তার, অপর ঘরের মো. মিলন এবং মেয়ে মিশুকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করান।

            অভিযোগ উঠেছে, সংঘবদ্ধ চক্র স্প্রে ব্যবহার করে এই ৩ পরিবারের ১২ সদস্যকে অচেতন করে। পরে অজ্ঞাতনামা চক্রটি রাতের আঁধারে মিলনের ঘরের আলমারি ভেঙে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও চার আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

            হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একতা ট্রেডার্সের মালিক আবদুস সাত্তার বলেন, “কিভাবে এত বড় ঘটনা ঘটলো কিছুই বুঝতে পারিনি। এই নতুন ঘটনার ভুক্তভোগী হলাম। আমার পরিবারের সবাই অচেতন ছিল। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি এবং সকলের জ্ঞান ফিরেছে।”

            চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং হাসপাতালে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। তবে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’