শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চৌদ্দগ্রামে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত¡া ছাত্রী ৫ বছরেও পায়নি সন্তানের পিতৃপরিচয়

চৌদ্দগ্রামে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত¡া ছাত্রী ৫  বছরেও পায়নি সন্তানের পিতৃপরিচয়
১৪৮ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের ল²ীপুর গ্রামে প্রাইভেট শিক্ষক তারেকুর রহমানের লালসার শিকার হয়ে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী। তবে এখনো সে পায়নি তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়। স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা সিএনজি চালক কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে মামলা করে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। লম্পট শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌধুরী একই গ্রামের অধিবাসী।

            জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম ল²ীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের লম্পট শিক্ষক দর্জি বাড়ির কোচিং সেন্টারে নিয়মিত প্রাইভেট পড়াতেন। শিক্ষকের কুদৃষ্টি পড়ায় সব শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে ওই ছাত্রীকে বসিয়ে রেখে পরে ছুটি দিতেন। একদিন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে উলঙ্গ ছবির ভিডিও ধারণ করে রাখে লম্পট ওই শিক্ষক। এ ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওটি প্রকাশ করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে রাখে। তার পরিবার জানতে পারে সে অন্তঃসত্ত¡া। এরপর ওই ছাত্রী শিক্ষক তারেকুর রহমান কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার কথা পরিবারকে জানান। এই ঘটনায় ২০২০ সালে এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক সালিশে সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌধুরী ওই ছাত্রীকে বিবাহ করতে হবে। সালিশের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ছাত্রীকে সন্তান প্রসবের পরে বিয়ে করতে সম্মত হয় চতুর লম্পট শিক্ষক। শিক্ষক আগেই বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।

এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভের বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করে ওই শিক্ষক ও তার পরিবার। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ১২ই আগস্ট ওই ছাত্রী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে।

Share This

COMMENTS