শনিবার, ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চৌদ্দগ্রামে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম

চৌদ্দগ্রামে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম
৪৬ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় জনবল সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় সরকারি ও জাতীয়করণসহ ১৭৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসেও রয়েছে জনবল সংকট।

            অভিভাবকদের অসচেতনতা, শিশুশ্রমের প্রচলন, যত্রতত্র অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠা, মোবাইল আসক্তিতে সামাজিক অবক্ষয় ও পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার ঘাটতিও রয়েছে।              উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জনবল সঙ্কট রয়েছে। সঙ্কট নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ৬টি পদ, অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটরের ৩টি পদ, উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক ও অফিস সহায়কের পদ খালি রয়েছে।

            এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ১৭৫ জনের মধ্যে শূণ্যপদ ৬৪, সহকারি শিক্ষক পদে ১০৯৫ জনের মধ্যে শূণ্যপদ ৭২, দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে ১১৪ জনের মধ্যে শূন্যপদ রয়েছে ১৫টি।

            খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৬৪ প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক’ দিয়ে। অর্থ্যাৎ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।                চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। সরকারের উচিত-শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। শিক্ষক সংকট নিরসন হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে’।

            এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হুদা তালুকদার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়া প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলার রায় হলেই প্রধান শিক্ষক সংকট নিরসন হবে’।

Share This