জাতীয় নদী দিবসে লাকসামে বাপার মানববন্ধন ও সভা ডাকাতিয়া নদীর সুরক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
ষ্টাফ রিপোর্টার\ ডাকাতিয়া নদীর সুরক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত রোববার সকালে লাকসামে মানববন্ধন ও সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে গত ২ দশকে নদীর কোনো সংস্কার ও উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ ও নদীর বিভিন্ন স্থানে দখল, দূষণ ও লুণ্ঠনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে কলেজ উপাধ্যক্ষ মনির হোসেন বলেন, লাকসামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর দ্বারা এ অঞ্চলের মানুষ একসময় নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু নদী এলাকার মানুষ এখন তার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। নদী ভরাট ও সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় এবারও লাকসাম এলাকা বন্যায় প্লাবিত ও মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তবে নদীর দখল, দূষণ ও ভরাট বন্ধ করে নতুন করে নদীর সংস্কার করা হলে তার জীবন্ত রূপ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব কিছু নয়। মানববন্ধন শেষে নবাব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংহতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ডাকাতিয়াসহ সকল নদ-নদীর উন্নয়ন ও তত্ত¡াবধানের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিটি নদী দেশ ও দেশের সকল জনগণের সম্পদ। ডাকাতিয়া নদীর মতো এমন কোনো একটি নদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অপকান্ডের কারণে একে একে অস্বিত্বহারা হয়ে যাবে তা কোনো ভাবেই মানা যায় না। সাংবাদিক মশিউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, লাকসাম প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক মনির হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, তমিজ উদ্দিন চুন্নু, আব্দুল্লাহ আল মাহবুব শিশির প্রমুখ।
বাপা সভাপতি ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডাকাতিয়া ও গোমতীর মতো প্রতিটি নদীকে জীবন্তসত্ত¡া ঘোষণা করে তার আইনানুগ অভিভাবক হিসেবে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নদীগুলোর সুরক্ষায় দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা বা সমাজের কুচক্রীদের কাছে বারবার প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তিনি নদী, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সকল শ্রেণি পেশার নাগরিকদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে জলবায়ুর মারত্মক ক্ষতি ও প্রাকৃতিক আপদ-বিপদ থেকে বাঁচতে হলে দেশের সচেতন সকল মানুষকেই ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশ বিরুদ্ধ অপকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সভায় নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর ঐতিহ্যবাহী বাড়িকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী ডাকাতিয়া নদী এলাকা ও তাঁর বাড়ির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়নের দাবিও জানানো হয়।