ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ গ্রামীন টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দেয়ার রায় হাইকোর্টের
ষ্টাফ রিপোর্টার\ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীন টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত সোমবার বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। একইসঙ্গে বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে গত ২৮শে জানুয়ারি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা।
সেদিন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, নিম্ন আদালতের আদেশে এক মাসের জামিন দেয়া হয়েছিল। সেটিও বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন তারা। আগের দিন ২৭শে জানুয়ারি তিনি জানান, রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ থেকে ৩০টি পয়েন্টসহ একটি পিটিশন জমা দেবেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১লা জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদন্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।
এর আগে গত ১৬ই নভেম্বর মামলাটিতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারও আগে গত বছরের ৬ই জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আরো উল্লেখ থাকে যে, ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ই আগস্ট আইএফইডি কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের সঙ্গে কিছু লঙ্ঘন দেখতে পেয়েছিলেন।