দাউদকান্দি পৌরসভাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণাঃ ৩ জনের মৃত্যু

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ দাউদকান্দি পৌরসদরের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড দু’টিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই এই দু’টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে পৌর প্রশাসন।

            জানা গেছে, উপজেলার দাউদকান্দি পৌরসদরের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দোনারচর, সবজিকান্দি, দাউদকান্দি, সাহাপাড়া, বলদাখাল ও তুজারভাঙ্গা গ্রামগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিটি পরিবারের কোন না কোন সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন। ওয়ার্ড দু’টিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ শতাধিক। মে মাস থেকে এই পর্যন্ত উপজেলার সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩ শতাধিক রোগী এবং রাজধানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছে ৩ জন।

            ইতিমধ্যে ৩ জন মারা গেছে। এরা হলেন- দোনারচর গ্রামের মান্নানের ছেলে ইউসূফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার।

            পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার, জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করছি ও ফগার মেশিন দিয়ে ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। আমার ওয়ার্ডসহ পাশের ওয়ার্ডের ৪জন প্রাণ হারিয়েছেন।

            ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আরো শতাধিক আক্রান্ত হয়েছেন।

            দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, জুন মাস থেকে এই পর্যন্ত হাসপাতালে ১০২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।            দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে দু’টি ওয়ার্ডকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছি। প্রতিদিন ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে মশক নিধন কর্মসূচি গ্রহণ করছি। ফগার মেশিনের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করছি।