মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ বোরোর বীজতলা

দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ বোরোর বীজতলা

১৯১ Views

প্রতিনিধি, বিরামপুর, দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে বোরোর বীজতলা। তীব্র ঠান্ডা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিন, খড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকরা। আবার অনেকে বীজতলায় ছাই ও কীটনাশক ছিটিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
পৌষ মাসের শেষ দিকে এসে বিরামপুর উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। এর মধ্যেই উপজেলার কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে শীত ও ঘন কুয়াশায় উদ্বেগে দিন কাটছে বোরো চাষিদের। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহের বিরূপ আবহাওয়ায় বীজতলার ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। অনেক বীজতলার চারা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষক চারা রক্ষায় রাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন। সকালে রোদ উঠলে তা সরিয়ে ফেলছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭ ইউনিয়নে চলতি বছর প্রায় ১৫ হাজার ২৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় বোরোর বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রি-২৮,২৯, ৫০,৫৮,৭৪,৮১,৮৮,৯২,জিরাশাইল, শঙ্কর,এসিআই-২, মদিনা ও স্থানীয় জাতের গুটি স্বর্ণাসহ বেশ কয়েক জাতের ধান আবাদ করা হবে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৭৭৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার ভেলারপাড় গ্রামের আদর্শ ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, বোরো ধান আবাদের জন্য তৈরি বীজতলা সন্ধ্যার দিকে পলিথিনে ঢেকে দেওয়া হয়। এভাবে সারারাত কুয়াশা থেকে বীজতলার চারা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে তেমন ক্ষতি হচ্ছে না।
বাদ মৌকা গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা কুকড়ে গেছে এবং লাল বর্ণ ধারণ করছে। প্রতি সপ্তাহে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। অন্যদিকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়ে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘন কুয়াশা আরও বেশি হবে আর বীজতলা রক্ষা করা সম্ভব হবেনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ জানান বলেন, উপজেলার বোরো চাষিরা যখন বীজতলা তৈরি করেন তখন কুয়াশা ছিল না। এখন বীজতলার পাতা গজিয়ে গেছে। এ কারণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। তবুও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া পদ্ধতিটি আধুনিক। এ পদ্ধতিতে বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা কম। বীজতলায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে গরম পানি দিতে হবে। তাহলে শীতে চারার তেমন ক্ষতি হবে না।

Share This