বাজারে আসছে নতুন নোট,থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি


বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ঈদের আগেই বাজারে চালু করা হবে নতুন ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। তবে এই নোটগুলোতে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না; বরং থাকবে দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনার ছবি।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিম (সিইএস)’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে টাকা ছাপার কাজ শুরু করেছি। নতুন ১ হাজার, ৫০ এবং ২০ টাকার নোট ঈদের আগেই বাজারে আসবে। এই নোটে কোনো ব্যক্তির প্রতিকৃতি থাকবে না, থাকবে দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ।”
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারের ফলে বিদেশি সংস্থাগুলোর ওপর চাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি ইতোমধ্যে কিছু সম্পদ ফ্রিজ করেছে। এটিই অর্থ ফেরত আনার প্রথম ধাপ।”
গভর্নর আরও বলেন, “মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখন ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ পাবে, যা আগে এমএফআই বা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠিন ছিল।”
তিনি জানান, এই স্কিমের আওতায় পিকেএসএফ অংশীদার এমএফআইগুলোকে ২৪০ কোটি টাকার একটি রিজার্ভ তহবিলের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টি দেবে। এর বিপরীতে এককালীন ০.৫% কমিশন নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণপ্রাপ্তি সহজ করবে।
প্রকল্পটিতে সরকার ও এডিবির সহায়তায় পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক এবং একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানান গভর্নর।
তিনি আরও বলেন, “মাইক্রোফাইন্যান্স খাত যদি স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে পরিচালন ব্যয় কমে আসবে এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে কেবল দক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো নিয়ন্ত্রক হস্তক্ষেপ করবে না।”
শেষে তিনি ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, দেশের প্রতিটি স্কুলের সঙ্গে মিলে আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে।