শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাঙ্গলকোটে ট্রেনচালকের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

নাঙ্গলকোটে ট্রেনচালকের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

            নিজস্ব প্রতিনিধি॥ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের ট্রেনচালক ও সহকারী চালকের ওপর হামলা করেছে একটি কিশোর গ্যাং। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নাঙ্গলকোট স্টেশনে এ হামলা চালায় তারা। এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

            খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালকদের রক্ষার চেষ্টা করে। চালকদের ওপর হামলা হলেও ট্রেনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ দ্রুতগতিতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং ট্রেন থেকে নেমেও আসেনি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে ট্রেনের গার্ডদের অনুরোধে ১৫ মিনিট পর পুলিশ ট্রেন থেকে নেমে এলে হামলাকারী কিশোররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

            হামলাকারী কিশোরদের দাবি, নাঙ্গলকোট স্টেশনে আসার জন্য তারা ফেনী স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল। এ সময় মেঘনা ট্রেনের সহকারী চালক তাদেরকে ডেকে নিয়ে ইঞ্জিনে উঠিয়ে বেশি ভাড়া দাবি করে। তারা ভাড়া কম দিতে চাইলে সহকারী চালক তাদের ওপর হামলা করে ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাঙ্গলকোট স্টেশনে ট্রেন থামলে তারা এ হামলা চালায়।

            নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি দেখা মাত্রই চালকদেরকে রক্ষা করতে দৌঁড়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমি চালকদের থেকে জেনেছি, ফেনী থেকে ওই কিশোররা ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠে ভ্রমণ করতে চায়। পরে সহকারী চালক ওই কিশোরদের ট্রেন থেকে নামার জন্য বললে তারা নামতে না চাওয়ায় তাদেরকে চড়থাপ্পড় দিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোররা নাঙ্গলকোট স্টেশনে এ হামলা চালায়।

            ট্রেন পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই স্টেশন মাস্টার বলেন, পুলিশ আসার সাথে সাথে হামলাকারীরা চলে যায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ট্রেনে থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ১৫ মিনিট পর গার্ডদের অনুরোধে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের এমন দায়িত্ব অবহেলার কারণে আজকে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো।

Share This

COMMENTS