পবিত্র ঈদুল আযহা সুন্নাতে ইবরাহিম (আঃ)


মোঃ জামাল হোসেন\ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভ বা খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। তন্মধ্যে হজ্ব বা কোরবানি অন্যতম। শুধু শারীরিক আর্থিক সামর্থ্যবান লোকদের জন্য হজ্ব ফরজ। ইবরাহিম (আঃ) তদীয় পুত্র ইসমাইলকে (আঃ) আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করার স্মৃতিকে ধরে রাখার মানসে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করে থাকেন। যাকে আমরা ঈদুল আযহা বলে থাকি।
পটভূমি ঃ রাববুল আলামিন যুগে যুগে মানুষকে একত্ববাদ বা তাওহীদের শিক্ষা দানের উদ্দেশে ১ লক্ষ ২৪ হাজারের বেশী পয়গম্ভর দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। কতিপয় মাত্র ১০/১২ জন পয়গম্ভর ব্যতীত অবশিষ্ট ইবরাহীম (আঃ) এর কাওম থেকে এসেছেন। ইসহাক (আঃ) এর পুত্র ইয়াকুব (আঃ) এর বংশধররা ‘বনি ইসরাইল’ নামে পরিচিত। তারা ১২টি উপগোত্রে বিভক্ত ছিলেন। মুসা ও ইসা (আঃ) তাঁর বংশের পয়গম্ভর ছিলেন। আহলে কিতাবী ইহুদি ও খৃষ্টান তাঁদের অনুসারি। আল্লাহ একত্ববাদ চ্যূত প্রত্যেক জনপদে পয়গম্ভর পাঠিয়েছিলেন। আবুল আম্বিয়া নামে খ্যাত ইবরাহীম (আঃ) ইরাকের বসরার সন্নিকটে ‘বাবেল’ (ব্যবিলন) শহরে জন্ম গ্রহন করেন। ‘ইবরাহীম’ শব্দটি সুরিয়ান ভাষার শব্দ। ‘আবে রাহীম’ থেকে ইবরাহীম। যার অর্থ দয়ালু পিতা। তাঁর উপাধি খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু। তিনি ফিলিস্তিনে হিজরত করে তথায় দ্বীনের দাওয়াত দেন। তাঁর প্রথমা স্ত্রী বিবি সারা (আঃ) এর বংশজাত নবীগণ ফিলিস্তিন ছাড়াও সিরিয়া, মিসর এবং আরবের অন্যান্য জনপদে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। দ্বিতীয়া স্ত্রী বিবি হাজেরা (আঃ) এর বংশধর নবীগণ বায়তুল্লাহ (মক্কা) তথা আরবের হেজাজ এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত দেন। ইবরাহীম (আঃ) পুরো কালডীয় জাতিগোত্রের হেদায়েতে নিমগ্ন ছিলেন। ঐ সময় নমরুদ নামে একজন জালেম বাদশাহ তথায় রাজত্ব করতেন। সেমেটিক জাতির ধর্ম গুরু হিসেবেও ইবরাহীম (আঃ) পরিচিত। তদীয় তনয় ইসমাইল (আঃ) এর বংশধররা মুল আরব জাতি। তাঁেক আবুল আরব বা আরবদের পিতাও বলা হয়। ইয়েমেন থেকে আগত ‘বনি জোরহাম’ গোত্রের লোকেরা বিবি হাজেরা (আঃ) এর কাছ থেকে সামান্য করের বিনিময়ে ‘জমজম’ কুপের পানির ব্যবহার ও তথায় বসবাসের অনুমতি লাভ করে। মুল আরবি ভাষী তারাই কাবা গৃহের খাদেম ছিলেন। ‘বনু জোরহাম’ থেকে কোরাইশ বংশের উৎপত্তি হয়। কোরাইশ বংশ হাসেমী ও উমাইয়া গোত্রে বিভক্ত ছিল। রাসুল (সঃ) হাসেমী গোত্রে জন্ম গ্রহন করেন। যা সরাসরি রাসুল (সঃ) এর পিতা-মাতার দিক থেকে ইসমাইল (আঃ) এর বংশের সাথে মিশে গেছে। হিজরত, জীবনসংগ্রাম ও দেহসৌষ্ঠব চেহারা ইবরাহীম (আঃ) এর সাথে হুবহু মিল ছিল।
ইবরাহীম (আঃ) এর কোরবানি ঃ ইবরাহীম (আঃ) এর ২শত বছরের জীবনে আল্লাহ কর্তৃক বহু অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সবগুলো পরীক্ষায় তিনি সফলভাবে উর্ত্তীণ হয়েছিলেন। তিনি সামগ্রিকভাবে তাঁর কওমের জন্য দো’য়া করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর সব দো’য়া কবুল করেছিলেন। তাঁর বংশ থেকে রাসূল (সঃ) এর জন্ম, মক্কার জন্য তাঁর অকৃত্রিম আর্শীবাদ ঊষর-মরুভূমি মক্কাকে জনার্কীণ ব্যস্ততম ঔর্শ্বযময় শান্তির শহরে পরিণত করে। তাঁর জীবনের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর কোরবানি অন্যতম। ইমানী জজবায় যেমন পিতা তেমনি ছিলেন পুত্র ইসমাইল (আঃ)। রাববুল আলামিনের ওপর অবিচল আস্থা ধৈর্য্য তাদের ইতিহাসে সুবিখ্যাত পয়গম্ভরে পরিণত করেছে। আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ) এর অনেকগুলো সুন্নাত উম্মতে মুহাম্মদের (সঃ) ওপর জারী রেখেছেন। ইবরাহীম (আঃ) অনেক বছর পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। দ্বীনের খেদমতের জন্য আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেন। আল্লাহ তাঁর মনোকষ্ট দুর করার জন্য ৮৬ বছর বয়সে দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা (আঃ) এর গর্ভে ইসমাইলকে (আঃ) দান করেন। ইসমাইল (আঃ) এর বয়স যখন ১৪ বছর , তখন তাঁর প্রথমা স্ত্রী বিবি সারা (আঃ) এর প্রথম সন্তান ইসহাক (আঃ) জন্ম গ্রহন করেন। আল্লাহর নির্দেশে অথবা প্রথমা স্ত্রী বিবি সারা (আঃ) এর চাপে শিশু ইসমাইল (আঃ) সহ বিবি হাজেরা (আঃ) কে বিজন মরুভুমি মক্কাতে নির্বাসনে পাঠান। পয়গম্ভর স্ত্রী আল্লাহর নির্দেশকে সহজভাবে মেনে নেন। আজকের মক্কানগরী তখন মরুময় বিজন বিরান প্রান্তর ছিল। ইবরাহীম (আঃ) এর মুল বসতি থেকে মক্কা তখন ৭০ কিঃ মিঃ দুরে ছিল। নুহ (আঃ) এর সময় মহাপ্লাবনের আগ পর্যন্ত এখানে জ্বিন, ফেরেশতা, এবং আমালিকা সম্প্রদায়ের লোকেরা তাওয়াফ ও ইবাদত করত। প্লাবনের পর কাবাগৃহের চিহ্ন প্রায় মুছে গিয়েছিল। ফেরেশতাদের সহায়তায় ইবরাহীম (আঃ) কাবার মুল ফটকে গাছের নিচে তাঁদের রেখে যান। বিবি হাজেরা (আঃ) এর সাথে রাখা খেজুর ও পানি কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। শিশু ইসমাইল (আঃ) ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কান্নাকাটি শুরু করে। পানির অভাবে বুকে দুধ আসা বন্ধ হয়ে যায়। মরু-প্রান্তরে শিশু ইসমাইল (আঃ) কে এক ঝোপের নিচে রেখে বিবি হাজেরা (আঃ) পানির জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। বিজন পাহাড়দ্বয় সাফা ও মারওয়াতে ৭ বার দৌড়াদৌড়ি করে সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। শিশু ইসমাইল (আঃ) এর পায়ের তলায় পানির ফোয়ারা পায়ের আঘাতে অথবা জিবরাইল (আঃ) এর পাখার আঘাতে পানি বের হতে থাকে। বিবি হাজেরা (আঃ) তৃপ্তি সহকারে পানি পান করে মসক ভর্তি করে নিলেন। বুকে দুধ আসতে থাকে। ইসমাইল (আঃ) এর দুধের ব্যবস্থা হল। বিবি হাজেরা (আঃ) কয়েক টুকরা পাথর দিয়ে চার দিকে বাঁধ দিতেই পানির প্রবাহ বাড়তে থাকে। তখন তিনি বলে ওঠেন, যাম যাম-অর্থাৎ থাম থাম। যাম যাম থেকে ‘জমজম’ শব্দটির উৎপত্তি হয়। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর ধরে এ জলাধারটি ‘জমজম’ কুপ নামে পরিচিতি লাভ করে। পানির রং,স্বাদ ও গন্ধ একই রকম থেকে যায়। বিহঙ্গকুল পানির উৎস দেখে ওড়তে থাকে। তখন দুর-দুরান্তের বণিকগন পাখির ওড়া থেকে পানির উৎস নির্ণয় করত। অবশেষে বিভিন্ন দেশের বণিকরা যাত্রা পথে এখানে বিশ্রাম নিত। আস্তে আস্তে কাবা এবং ‘জমজম’ কুপের আশে-পাশে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ইয়েমেনের ‘বনি জোরহাম’ গোত্রের লোকেরা সামান্য করের বিনিময়ে বিবি হাজেরা (আঃ) এর কাছ থেকে বসবাস এবং ‘জমজম’ কুপের পানি ব্যবহারের অনুমতি পায়। কিন্তু কুপের অধিকার বিবি হাজেরা (আঃ) এর কাছে থেকে যায়। ইসমাইল (আঃ) জোরহাম গোত্রের লোকেদের কাছ থেকে বিশুদ্ধ আরবি ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। এই গোত্রেই তিনি নেকাহ করেন। এ দিকে সিরিয়া থেকেও বণিকরা এ পথে যাতায়াত শুরু করে। ফলে কাবা তথা মক্কা আস্তে আস্তে বধিষ্ণু নগরীতে পরিণত হয়। ইসমাইল (আঃ) যখন কিশোর বয়সে উপনীত, ইবরাহীম (আঃ) রাতে স্বপ্নে দেখেন, আল্লাহ তাকে তাঁর প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে নির্দেশ দেন। তখনো তিনি স্বপ্নের বিষয় বস্তু বুঝে ওঠতে পারেননি। পর দিন ১০০টি পশু আল্লাহর নামে কোরবানি করেন। দ্বিতীয় রাতেও একই স্বপ্ন দেখেন। এবার আবারও ১০০টি পশু কোরবানি করেন। তৃতীয় রাতেও অভিন্ন স্বপ্ন দেখেন। তিনি খুব চিন্তিত ও বিচলিত হয়ে পড়েন। সকালে ওঠে আরও ১০০টি পশু কোরবানি করেন। আবারও ইবরাহীম (আঃ) স্বপ্নে দেখেন, ‘হে ইবরাহীম ! তুমি তোমার সবচেয়ে প্রিয়বস্তুকে আমার নামে কোরবানি কর’। তিনি বুঝতে পারেন, বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান ইসমাইলই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়বস্তু। সিদ্ধান্ত নেন, যতকষ্টকর হোক না কেন আল্লাহর আদেশ অবশ্যই তামিল করবেন। দাওয়াতের কথা বলে বিবি হাজেরা (আঃ) থেকে কিশোর ইসমাইলকে নিয়ে দূরবর্তী ময়দানের দিকে রওয়ানা হন। শয়তান ইবলিস পথিমধ্যে ৩বার ধোঁকা দিয়ে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশের কথা পুত্রকে জানালেন। তখন ইসমাইল (আঃ) বলেন, আল্লাহর রাহে কোরবানি হওয়া তো অতি সুভাগ্যের ব্যাপার। মিনাতে পুত্রকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হন আল্লাহর নবী। যেমন পিতা তেমন পুত্র। ভবিষ্যতের পয়গম্ভরও বটে। কোরবানির আগে নিজের চোখ বেঁধে নেন। পুত্রের হাত পাও বাঁেধন। তারপর পুত্রের গলায় ছুরি চালান। গলা কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়ে হাতে-পায়ে লাগলে কোরবানি হয়েছে বলে চোখ খুললেন। ছুরির ধার পরখ করার জন্য আস্ত পাথরে হালকা আঘাত করতেই পাথরটা তৎক্ষনাৎ দুই টুকরা হয়ে যায়। তাফসিরবিদগন লেখেন, ইবরাহীম (আঃ) ৬৯ বার গলায় ছুরি সঞ্চালন করার পর তাঁর অন্তর থেকে অবশিষ্ট যৎ সামান্য ¯েœহ মমতাও দুরীভূত হয়ে যায়। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত ইসমাইল (আঃ) এর একটি পশম কাটাও ছুরির পক্ষে সম্ভব নয়। ৭০ বারের পর ইবরাহীম (আঃ) এর ফিনকি দিয়ে হাত-পায়ে রক্ত লেগে যায়। আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্তরীক্ষ হতে আওয়াজ আসে, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। তিনি মনে করেন, তাঁর পুত্র কোরবানি হয়ে গেছে। চোখ খুলে দেখেন, ১টি দুম্বা জবাই হয়ে আছে। পাশে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন ইসমাইল (আঃ)। ইবরাহীম (আঃ) কি পশু কয়টি পশু এবং কতবার গলায় ছুরি চালিয়ে ছিলেন, তা নিয়ে হালকা মতভেদ আছে। ফেরেশতা এসে ইবরাহীম (আঃ) কে জানান,আল্লাহ আপনার কোরবানি কবুল করেছেন। আপনাদের পিতা-পুত্রের মান-মর্যাদা, শান-শওকত আল্লাহর দরবারে অনেক উচ্চ মাত্রায় পৌচেছে। এই ঘটনার কিছু দিন পর বাপ-বেটা মিলে কাবাগৃহের পুনঃর্নিমাণ ও সংস্কার করেন। কাবাঘরে ইবাদত ও তওয়াফ আবার চালু করা হয়। ইবরাহীম (আঃ) এর স্মৃিত অনুসরণে কোরবানি প্রদান প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর ধরে বিভিন্ন নিয়মে চালু আছে। এ কোরবানির অনেক তাৎর্পয মহিমা ও ফজিলত আছে ঃ ১. আল্লাহর সাথে শিরক থেকে মুক্তির উপায় কোরবানি প্রদান। ২. কোরবানির মাধ্যমে একমাত্র ¯্রষ্টার সর্বময় ক্ষমতার অধিকার স্বীকার করে নেয়া হয়। ৩. জান-মাল খরচের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের একমাত্র উপায় কোরবানি প্রদান। ৪. কোরবানির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর আনুগত্য সার্বভৌম ক্ষমতা এবং আধিপত্য দৃঢ়চিত্তে মেনে নেয়ার প্রেরণা পেয়ে থাকি। ৫. একত্ববাদের স্বীকৃতি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি একমাত্র আল্লাহর রাহে জান-মাল খরচের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। ৬. কোরবানি একটি আর্থিক নগদ ইবাদত। এর দ্বারা মানুষের মাঝে বিদ্যমান ষটরিপু (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য ) কে আল্লাহর রাহে কতল করা হয়। ৭. কোরবানির মাধ্যমে মানুষের আতœা পরিশুদ্ধ ও পরিশালিত হয়। ৮. কোরবানির মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সমতা সৌর্হাদ সদ্ভাব সম্প্রীতি এবং আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। ৯. কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও দৃঢ় ইমানী জজবা বৃদ্ধি পায়। ১০. বছরের সবচেয়ে বরকতময় দিনে মুমিন মুসলমানগণ কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর মহত্ত¡ ঘোষণা করে। ১১. প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর ধরে চালু এ আর্থিক ইবাদতটি আবুল আম্বিয়া ও আবুল আরব নামে খ্যাত পিতা তনয়দ্বয়ের উৎর্সগের স্মৃতি স্মরণ করে দেয়। ১২. আল্লাহর কাছাকাছি ও সান্নিধ্য লাভের আশা করা যায় কোরবানির মাধ্যমে। ১৩. বিশ্বাস,আন্তরিকতা ও ভক্তির সহিত কোরবানি করলে আল্লাহ তা কবুল করে থাকেন। পরিশেষে ১৪. সহীহ নিয়তের কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর দরবারে পৌছে যায় এবং কোরবানিকৃত পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে ১টি করে নেকী দেয়া হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আর্থিক সার্মথ্যবান হয়ে হজ্ব ও কোরবানি করার তওফিক এনায়েত করুন, আমিন। ছুম্মা আমিন।
লেখক ঃ শিক্ষক, ফুলগাঁও ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, লাকসাম, কুমিল্লা।