
পরপারে পাড়ি জমালেন তাবলীগ জামায়াতের কিংবদন্তি রাহবার ডাক্তার আহসান উল্লাহ!

কাজী মাসউদ\ গত শুক্রবার (১৪ই ফেব্রæয়ারি) দুনিয়ার জীবন শেষ করে পরপারে পাড়ি দিলেন তাবলীগ জামায়াতের এক কিংবদন্তি রাহবার ডাক্তার এ কে এম আহসান উল্লাহ (৯০)। জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও দ্বীনের আলোয় আলোকিত হয়ে তিনি আলো ছড়িয়েছেন দেশ ও সমাজে। দ্বীনের দাওয়াতি কাজে তিনি ইউরোপ, আমেরিকা, লন্ডন ও কানাডাসহ পৃথিবীর বহু দেশ সফর করেছেন।
ডাক্তার এ কে এম আহসান উল্লাহ ছিলেন আল্লামা নানুপুরী (রঃ) এর খলিফা এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন আল্লামা হাফেজ্জী হুজুর ও আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরীর অত্যন্ত স্নেহধন্য। তাবলীগ জামায়াতে বিশ্ব বরেন্যে মুরুব্বী হযরতজি এনামুল হাসান ও ইউসুফ কান্দলভীর সানিধ্য অর্জন করেছেন তিনি।
ব্যক্তি জীবনে এ কে এম আহসান উল্লাহ ছিলেন সদা-সর্বদা হাস্যজ্জোল, নিরহংকার, পরোপকারী। আলেম ওলামাদেরকে তিনি অঘাদ ভালো বাসতেন এবং রোগী দেখার মধ্যদিয়ে তিনি ইবাদত বন্দেগীর স্বাদ গ্রহণ করতেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি ৪ ছেলে ও এক মেয়ের জনক। চার ছেলেকেই তিনি একই সাথে হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি বানিয়ে দ্বীনের রাহবার বানিয়ে গেছেন।
কুমিল্লা জেলায় তিনি ছিলেন দ্বীনের একটি বর্তিকা। লাকসাম পাইলট স্কুল মাঠে তাঁর জানাজায় হাজারো আলেম ওলামার উপস্থিতি ও সাধারণ মানুষের ঢল সেটাই প্রমাণ করে। মরহুম ডাঃ এ কে আহসান উল্লাহর জানাজার নামাজ পড়ান তাঁর বড় ছেলে মুফতি শফি উল্লাহ। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, তাবলীগ জামায়াতের কুমিল্লা জেলার মুরব্বীগন এবং উজানীর পীর সাহেব ও প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুফতি জুনায়েদ কাসেমীসহ কুমিল্লা জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বগন। জানাজা শেষে তাঁকে তাঁর পশ্চিম গাঁওয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।