পাড় না রেখে ঘেরে মাছ চাষ ধসে পড়ছে পাকা সড়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় পাড় নির্মাণ না করে সড়কের পাশেই ঘেরে মাছ চাষ করছিলেন প্রভাবশালীরা। এতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা-বাঙ্গড্ডা সড়কে উপজেলার মোস্তফাপুরে মাছের ঘেরে ধসে পড়েছে পাকা সড়কের একাংশ। ভাঙন বাড়লে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। এতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর এলাকায় সড়কটির পূর্ব অংশে গার্ড ওয়াল ভেঙে মাছের ঘেরে তলিয়ে গেছে। পাকা সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে পানি প্রবেশ করে সড়কের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। আরো কয়েকদিন বৃষ্টি হলে সড়কের বড় অংশই ধসে পড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সড়কের পাশের বাড়ির মোস্তফা মিয়া জানান, মাছের ঘেরটি নোয়াপাড়া গ্রামের কামাল চৌধুরী ও জসিম চৌধুরীর। পাড় না রেখে ঘের নির্মাণ করাতে সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রæত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে পুরো সড়কই মাছের ঘেরে ধসে যাবে।
মিশুকচালক আবদুল কাদের বলেন, সড়কে ভাঙন দেখে এলাকার কয়েকজন তরুণ লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছে। সড়কের অর্ধেক পর্যন্ত নিচের মাটি সরে গেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কলেজ শিক্ষার্থী কাজী নিমেল বলেন, সড়কটি ৪-৫ মাস পূর্বে নতুন করে পিচঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ পাড় না রেখে মাছের ঘের তৈরি ও অপরিকল্পিত মাছ চাষের কারনে সড়কটি ধসে যাচ্ছে।
স্থানীয় ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি মাছের ঘেরের কারণে সড়কে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সংস্কারের উদ্যোগ নিতে আমি আজই সড়ক ও জনপথ বিভাগকে চিঠি দেব।
লালমাই উপজেলার বাগমারা থেকে নাঙ্গলকেট উপজেলার বাঙ্গড্ডা পর্যন্ত সড়কটি কুমিল্লা-বাঙ্গড্ডা সড়ক হিসেবে পরিচিত। এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে রয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। দ্রæত সড়কটি সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো সফিকুল ইসলাম ভুঁঞা বলেন, ভাঙনের সংবাদ পেয়েছি। অতি দ্রæত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।