ফখরুল-খসরুর জামিন শুনানি ১৪ই ফেব্রুয়ারি
ষ্টাফ রিপোর্টার\ প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৪ই ফেব্রæয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রæয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানির এ দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১লা ফেব্রæয়ারি সিএমএম আদালতে ফখরুলের এবং গত ২৪শে জানুয়ারি আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
এর আগে এ মামলায় ৩রা ডিসেম্বর হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর ৭ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক সপ্তাহের এ রুল জারি করেন। এরপর গত ১০ই জানুয়ারি ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২৮শে অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এই একটি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলায় ইতোমধ্যে সিএমএম আদালত থেকে তারা জামিন পেয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯শে অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তখন ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে গত ২৮শে অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় ২রা নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮শে অক্টোবর সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে টানা হরতাল-অবরোধ করে দলটি।