শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরুড়ায় ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলের  একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা

বরুড়ায় ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ও দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে বেহালদশা বিরাজ করছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় ছোট-বড় গর্তে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও সাধারণ পথচারীরাও।

            রাস্তাটির সিংহভাগ দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সীমানায়, আর বাকি কিছু অংশ গালিমপুর ইউনিয়নের সীমানায়। মূলত রাস্তাটি ২ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় সংস্কার হচ্ছে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

            সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রাস্তাটি উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের ঘোষ্পা গ্রাম থেকে দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের শিয়ালোড়া, জয়াগ হয়ে পাশের উত্তর শিলমুড়ী ইউনিয়নে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে মানুষের যাতায়াত করা কষ্টকর।

            এ রাস্তার পাশে ঘোষ্পা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিয়ালোড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪-৫শ’ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করে। শিক্ষার্থী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষের যাতায়াত এ রাস্তা দিয়ে।       মালেক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ছয় গ্রামের মেয়েদের বিয়ে-শাদী হয় না এ রাস্তার কারণে। অনেক বিয়ের প্রস্তাব ফিরে যায় শুধু এ কারণে। জীবনে একবার এ রাস্তায় মাটি ফেলতে দেখেছি।’

            আরেক বাসিন্দা রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমি ডাক্তার দেখিয়ে আসলাম। এ রাস্তা দিয়ে একজন রোগী কীভাবে বাড়ি যাবে আপনারাই বলেন? এ রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচলে কষ্ট হয়।’

            হোসেন নামে স্থানীয় দোকানদার বলেন, ‘রাস্তাটি গালিমপুর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সংযোগস্থল। দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ার কারণে রাস্তাটির কাজ হচ্ছে না।’

            পথচারী দিদার বলেন, ‘আমি এ এলাকার জামাই। বৃষ্টির দিনে শ্বশুর বাড়িতে আসলে হাতে জুতা আর হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গোটাতে হয়। আমার বিয়ের পর থেকে রাস্তার একই অবস্থা দেখে আসছি।’

            গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি ৩ মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। আমি নিজেও জানি না ওই রাস্তার কতটুকু আমার ইউনিয়নে পড়ছে। রাস্তার বেশিরভাগ দক্ষিণ শিলমুড়ীর সীমানায় পড়েছে। কোনো প্রজেক্ট আসলে আমি প্রথমে রাস্তাটি করে দেবো।’

            দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি ইউনিয়নের একবারে ভিতরে পড়ছে। বড় প্রকল্প এখানে আনা যায় না। তিন বছর চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছে। তবে পরে কোনো বরাদ্দ আসলে তখন আমি করে দেবো।’

            স্থানীয় সংসদ সদস্য এজেডএম শফিউদ্দিন শামীম বলেন, যে সব সড়ক পাকা করতে হবে এবং যেসব সড়কের উন্নয়ন ও মেরামত দরকার, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে।

Share This

COMMENTS