বসুন্ধরা গ্রæপের ১০ জনের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১ শত কোটি টাকার ২টি মানহানির মামলা
ষ্টাফ রিপোর্টার\ বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে এই ২ মামলা দায়ের করা হয়। তন্মধ্যে, একটি মামলা রুজু করেছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়াল। অন্য মামলা করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।
মামলায় অন্য যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার হায়দার আলী, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের সিইও, ম্যানেজার আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেল, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি রিপনুল হাসান (রিপন)।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। এনামুল হকের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়, আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশে অন্য আসামিরা দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় গত ২৭শে আগস্ট ‘সোনা চোরাচালানে অপ্রতিরোধ্য, আছে খুনের অভিযোগ, ধরাছোঁয়ার বাইরে দুই মাফিয়া’ শিরোনামে তাঁদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি আসামিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো ধরনের সাড়া না দিয়ে বরং হুমকি দেন। তাঁদের এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শেখ সেলিমের স্বর্ণ পাচারে সহযোগী দোলন, ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারে দিলীপ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
আবার ২৯শে আগস্ট ‘দিলীপের ১৭ কোটি টাকার স্বর্ণ আটক’ মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে তাঁরা সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ব্যাপারে তাঁরা আসামিদের সঙ্গে হোটেল শেরাটনে বসেন। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। আসামিরা তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করে সংবাদ প্রকাশ করবে মর্মে হুমকি দেন।
গত ৩০শে আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ভ্যাট ফাঁকি ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। তাঁরা এর প্রতিবাদ পাঠান। তবে পত্রিকায় তা ছাপা হয়নি। এতে তাঁরা মানসিক, আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছেন।
আগরওয়ালের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদে তাঁর এক হাজার কোটি টাকা ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে।
এনামুল হকের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় তাঁর ১০০ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে।
এসব অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর ব্যক্তিগত আক্রোশে ও শত্রুতামূলকভাবে বাদী ও তার ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। সেহেতু, একাধারে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন। সুত্র: আজকের পত্রিকা