বাজেট ২০২৫–২৬: যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে


২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক ও কর সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়, যার প্রভাব বাজারে দ্রুত পড়ে। ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।
বাজেট বক্তৃতা, অর্থ বিল এবং কাস্টমস নির্দেশনা পর্যালোচনায় যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়েছে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. মুঠোফোন
দেশে মোবাইল উৎপাদন ও সংযোজন খাতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) অব্যাহতি কিছুটা কমানো হয়েছে, যদিও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।
২. ওয়াশিং মেশিন ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স
ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকারসহ ঘরোয়া যন্ত্রপাতি উৎপাদনে ভ্যাট সুবিধা আংশিক কমানো হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. প্লাস্টিকের তৈজসপত্র
প্লাস্টিকের থালাবাসনসহ গৃহস্থালি সামগ্রীর ওপর ভ্যাটের হার দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরিবেশবান্ধব পণ্যে ছাড় অব্যাহত থাকবে।
৪. এলপিজি সিলিন্ডার
এলপিজি সিলিন্ডারের স্থানীয় উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি আংশিকভাবে কমানো হয়েছে, যদিও সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে এলপিজির দাম বাড়তে পারে।
৫. বিদেশি চকলেট
বিদেশি চকলেটের শুল্কায়ন মূল্য ইউনিটপ্রতি ৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে, এবং এর প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়তে পারে।
৬. লিপস্টিক ও প্রসাধনী
ঠোঁট, চোখ ও মুখের প্রসাধন সামগ্রীর শুল্কায়ন মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দামও বাড়তে পারে।
৭. ব্লেড
দাঁড়ি কাটার ব্লেড উৎপাদনে ভ্যাট ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ব্লেডের দাম বাড়বে এবং ব্যক্তিগত পরিচর্যায় খরচও বৃদ্ধি পাবে।