বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্রাহ্মণপাড়ায় সরকারি খালের উপর দোকান উচ্ছেদের ১০ মাস পর আবারো অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ

৪৪ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চারিপাড়া সরকারি খালের উপর ১৩টি দোকান উচ্ছেদের ১০ মাস পর আবারও অবৈধভাবে দোকান  নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউসার হামিদ গত বছরের ২রা নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন এবং সরকারি খালের উপর উক্ত অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন।

            চান্দলা ইউনিয়ন ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চান্দলা চারিপাড়ায় খালের উপর দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে খাল দখল করে ১৩টি দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিল ওই এলাকার কিছু লোক। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত বছর (২রা নভেম্বর) তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদ এর নেতৃত্বে অবৈধভাবে নির্মাণ করা দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

            এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চান্দলা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ কবির আহমেদ, ব্রাহ্মণপাড়া থানার এএসআই সাহাবুলসহ পুলিশের একটি দল। বর্তমানে উচ্ছেদকৃত দোকানের মালিকরা উক্ত জায়গায় ১০ মাস পর আবার অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ফেলেছে।

            এ ব্যাপারে চান্দলা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল হোসেন বলেন, চান্দলা ইউনিয়নের চারিপাড়া খালের উপর অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের ১০ মাস পর আবার ও অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করেন। আমি ও আমার অফিস সহায়ক সরজমিনে গিয়ে বাধা দিলেও তারা অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ফেলেছে। আমি উক্ত বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।

            অবৈধ দোকানপাট নির্মানকারীরা হলেন- দক্ষিণ চান্দলা চারিপাড়া গ্রামের অবিদ মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন মিয়া, আব্দুল হাকিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, তার ভাই আলী আহমেদ, মৃত তবদল হোসেনের ছেলে সহিদ মিয়া, তার ভাই আবু তাহের, ইউনুস মিয়া, মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, তার ভাই সুলতান আহমেদ, মোঃ জহির মিয়া, মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম, তার ভাই শফিকুল ইসলাম ও তোতা মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া।

            এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা বলেন, বিষয়টি আমি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া সরকারি খাল দখল করে যদি কেউ দোকান নির্মাণ করে তা হলে তাদেরকে আবারও উচ্ছেদ করা হবে।

Share This