ভোগান্তির শিকার ৪ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ চৌদ্দগ্রামে ঠিকাদারের গাফেলতিতে দু’টি সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ


মোঃ এমদাদ উল্যাহ\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একই ঠিকাদার দু’টি সড়কের উন্নয়ন কাজ না করেই লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছে।
জানা গেছে, গত বছর এডিবি ও জিওবি’ অর্থায়নে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ-খিরণশাল বাজার-মিতল্লা ৫.২৪১ কিলোমিটার সড়ক ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ও কোমাল্লা-আনন্দপুর ৪.৭৪১ কিলোমিটার সড়ক ৯ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে উন্নয়নের জন্য কাজ পায় ঢাকার মিরপুরের এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং-ইজি (জেভি)। চুক্তি অনুযায়ী দু’টি সড়ক একই বছরের ৩০শে জুনকাজ শুরু করে চলতি বছরের নভেম্বরে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ কাজ হয়নি। উল্টো সড়কের দু’পাশে খোড়াখুড়ি করে ভোগান্তি উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গেছে ঠিকাদার।
ওই সড়কে চলাচলকারী আলী আক্কাছ ও করফুলের নেছা বলেন, সড়ক দু’টির ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। গত এক বছর আগে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য কিছু অংশে খোড়াখুড়ি করে কংক্রিট বিছিয়ে চলে যায় ঠিকাদার। সেই জায়গাগুলোতে এবারের বর্ষায় মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়।
সিএনজি চালক আবদুর রহমান ও মোঃ দিপু অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ হয়নি। গত বছর কাজ শুরু হলে সবাই খুশি হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরুর কিছুদিন পর ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি দ্বিগুন বেড়েছে। সিএনজিতে যাত্রীরা উঠতে চায় না।
পথচারী আসমত বেগম বলেন, খানা খন্দে ভরা গর্তের কারণে ঠিকমত চলাচল করতে পারি না। এ সড়কের প্রতি কর্তৃপক্ষের কখন সুদৃষ্টি পড়বে কেউ বলতে পারছে না। তবে অঅরা সড়ক সংস্কারের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাবো।
মানুষের দুর্ভোগ ও অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্তাধিকারী এনায়েত উল্লাহর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোমাল্লা-আনন্দপুর সড়কের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদ বিন আজিম বলেন, ‘নিয়মিত তাগাদা দেয়ার পরও ঠিকাদার আসছে না। সড়কের উন্নয়ন কাজ করছে না’।
এলজিইডির চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দু’টির সংস্কারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক খরচ না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না। আশা করছি- অতি সহসা সড়ক দু’টির কাজ শুরু হবে।’